Bengali SerialHoop Plus

Roosha Chatterjee: কড়াইশুঁটির কচুরী থেকে নলেন গুড়ের রসগোল্লা, রুশার বিয়ের মেনু জিভে জল আনবে

বিয়েটা অবশেষে সেরেই ফেললেন রুশা চট্টোপাধ্যায় (Roosha Chatterjee)। 19 শে জানুয়ারি, ইকো পার্ক সংলগ্ন ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল রুশার বিয়ের আসর। পাত্র অনুরণন রায়চৌধুরী (Anuranan Roychowdhury) পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। অশোকনগরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সিয়াটলে থাকেন অনুরণন। তিনি মাইক্রোসফটে চাকরি করেন। বিয়ের পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়ে স্বামীর সাথে সিয়াটল পাড়ি দেবেন রুশা। 19 শে জানুয়ারি, যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিয়ে করলেও ইন্ডাস্ট্রির কোনো মানুষকে দেখা যায়নি রুশার বিয়েতে।

এদিন লাল রঙের কাঞ্জিভরম বেনারসিতে সেজেছিলেন রুশা। মেহেন্দি নয়, আলতায় রাঙিয়েছিলেন হাতের পাতা। সিঁথি সাজিয়েছিলেন টিকলি ও টায়রা দিয়ে। নাকে ছিল নথ। গলায় পছন্দসই নেকপিসের পাশাপাশি ছিল টেম্পল জুয়েলারি। আটপৌরে ধরনে শাড়ি পরেছিলেন রুশা। কোমরে ছিল সোনার কোমরবিছে। হাতে সোনার কঙ্কনের পাশাপাশি শাঁখা-পলা-নোয়া। বিয়ের প্রতিটি রীতি মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রুশা ও অনুরণন। তবে অনুরণন বিয়ের সময় রীতি মেনে উত্তরীয় ও ধুতি পরেননি। তাঁর পরনে ছিল অফ হোয়াইট শেরওয়ানি যাতে ছিল সোনালি রঙের কারুকার্য। তার সাথে সরু পাড় ধুতি পরেছিলেন অনুরণন।

কিন্তু নজর কাড়ল রুশার বিয়ের মেনু। এলাহি আয়োজন ছিল মেনুতেও। স্টার্টারে বিভিন্ন ধরনের কাবাব থাকলেও মেন কোর্সের শুরুতেই ছিল শীতের স্পেশ্যাল পদ মটরশুঁটির কচুরী। ছিল বিরিয়ানি ও পোলাও। কবিরাজি ও মাংসের বিভিন্ন পদ সম্পূর্ণ করেছিলেন বিয়ের মেনুকে। শেষপাতে বাদ যায়নি মিষ্টিমুখও। এখানেও শীতের বিশেষ আকর্ষণ নলেনগুড়ের রসগোল্লাই ছিল রাজা। পাশাপাশি ছিল জিলিপি, রাবড়ি, সন্দেশ। আপাতত অনুরণনের সাথে অশোকনগরের বাড়িতেই রয়েছেন রুশা। এখনও বাকি রয়েছে অষ্টমঙ্গলা।

রুশা ও অনুরণনের বিয়ে হয়েছে দেখাশোনার মাধ্যমে। তবে প্রথম দেখার পর দুজনেই ধীরে ধীরে দুজনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। প্রায় নয় মাস সম্পর্কে থাকার পর সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। বিয়ের সাথে সাথেই তের বছরের সফল অভিনয় জীবনে ইতি টেনে দিলেন রুশা। বর্তমানে সিয়াটলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তিনি।

Related Articles