whatsapp channel

Koustav Bagchi: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নেব: কৌস্তভ বাগচী

শনিবার দিনভর গোটা বাংলায় একটাই নাম- কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবীর সাংবাদিক সম্মেলন, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা, তারপর রাতবিরেতে তার বাড়িতে পুলিশি হানা, সেখান থেকে তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ এবং শেষমেষ সাতসকালে…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

শনিবার দিনভর গোটা বাংলায় একটাই নাম- কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবীর সাংবাদিক সম্মেলন, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা, তারপর রাতবিরেতে তার বাড়িতে পুলিশি হানা, সেখান থেকে তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ এবং শেষমেষ সাতসকালে গ্রেপ্তারি। সেখান থেকে জামিন অযোগ্য ধারার অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা এবং দুপুর গড়াতেই আবার আদালতে জামিন।

তারপর আদালত থেকে বেরিয়েই হুঙ্কার দিলেন কংগ্রেস নেতা। মাথা মুন্ডন করিয়ে নিলেন শপথ। সপ্তাহের শেষ দিনে রাজ্যে দিনভর ‘হিট’ কৌস্তভ বাগচী। কিভাবে সামনে এলেন তিনি? কেমন ছিল ঘটনাক্রম? দেখুন সবিস্তারে।

■ সূত্রপাত: সাগরদিঘি নির্বাচনে ভরাডুবি হয় শাসক দলের। তারপর প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করেন কৌস্তুভ। শনিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একটি বই ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।

■ পুলিশি হানা ও গ্রেপ্তারি: শনিবার ভোরবেলা থেকেই কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় বড়তলা থানার পুলিশ। এরপর সকাল ৮টা নাগাদ গ্রেপ্তার করে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।

■ মামলা: ১২০-বি – অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৩৫৪-এ, ৫০৩ – অপরাধজনক মানহানি, ৫০৪ – শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দেওয়া, ৫০৫ – গুজব ছড়ানো, ৫০৯ – কটুক্তি, এই ধারাগুলিতে কৌস্তভের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

■ তল্লাশি চলাকালীন কৌস্তভের ক্ষোভ: শনিবার সকালে তল্লাশি চলাকালীন কৌস্তভ বাগচী ক্ষোভে বলেন, “আমাকে ভয় পাবে তা বুঝতে পারিনি। এটা নৈতিক জয়। রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে।”

■ জামিনের পর কৌস্তভের হুঙ্কার: ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরিয়েই মস্তক মুন্ডন করান এই কংগ্রেস নেতা এবং বলেন, “যতদিন না পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে, ততদিন মাথায় একটা চুলও রাখবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নেব। যতদিন না এই স্বৈরাচারী সরকার গদিচ্যুত হচ্ছে, ততদিন আমার মাথায় একটি চুলও গজাব না। এটাই আমার প্রতিবাদের ভাষা। এটাই আমার শপথ।” একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে অধীর চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাইবেন, তারপর আমিও ক্ষমা চাইব।”

whatsapp logo
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা