বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের মধ্যে অন্যতম ‘দিদি নং-১'(Didi No.-1)। বিগত দশ বছর ধরে জি-বাংলার পর্দায় দর্শকদের মন জয় করে আসছে এই টেলি-শো। আর এই শোয়ের মধ্যমনি একজনই, তিনি হলেন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। একটা সময় বাংলা ছবিতে সফল নায়িকা, এখন সঞ্চালিকার অবতার। ‘দিদি নং-১’-এর মঞ্চ যেন একাই মাতিয়ে রাখেন রচনা। কারো দুঃখের কথা শুনে যেমন সহমর্মী হতে জানেন রচনা, তেমনই প্রতিযোগীদের নিয়ে হইহুল্লোড়, মজা-মশকরা করতেও ভোলেন না তিনি।
কিন্তু বড় পর্দায় অভিনয় থেকে কিভাবে ছোট পর্দার সঞ্চালিকা হয়ে এলেন এই অভিনেত্রী? এই বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও সেভাবে জবাব দিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। একবার তিনি জানান যে তার ছোট পর্দায় আসা নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব চলেছিল মনের ভেতর। তবে টেলিভিশন পর্দা তাকে নিরাশ করেনি মোটেও। ‘দিদি নং-১’- এর সঞ্চালনা তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে সিংহভাগ বাঙালি দর্শকদের মনে। এমনকি এই শোয়ের সঞ্চালিকা হিসেবে রচনা ছাপিয়ে গেছেন আগের সব সঞ্চালিকাদেরকেও।
সম্প্রতি জি-বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মঞ্চে থাকা অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “এখন তোমরা যেই কাজটা করছ ২০১০ সালে সেটা আমি আর যিশু শুরু করি। মিঠুনদা ছিলেন এমজি, মহাগুরু। খুব মজা করে ছটা মাস নাচটাচ দেখে আনন্দ করে কাটিয়ে দিলাম। এবার টিভিকে বাই বাই। ছবিতে ব্যাক। কিন্তু এইবারই শুরু হল আমাদের আসল জার্নিটা। বিখ্যাত পরিচালক অভিজিৎ সেন এবং নবনীতারা আমার কাছে এলেন এবং চেষ্টা করলেন বোঝানোর। না তোমাকে আসতেই হবে, তুমি আমার উপর ভরসা রেখে এগিয়ে যাও। আর সেই কথা অভিজিৎ আমি তোমার শুনেছিলাম। আর সেইজন্য সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। সঙ্গে জি-র গোটা টিমের উপর। আজকে আমি একটা নতুন জীবন পেয়েছি। সেটা আমাকে জি-ই দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রচনা ছাড়াও একাধিক অভিনেত্রীকে এই শোয়ের সঞ্চালিকা হিসেবে দেখা গেছে। প্রথম সিজনে সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলেছেন অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়। যদিও পারিবারিক কারণে সরে আসেন তিনি। পরবর্তীকালে তাকে এই শোয়ের প্রতিযোগী রূপে দেখা গেলেও সঞ্চালনা করেননি তিনি কখনও। এছাড়াও অভিনেত্রী জুন মালিয়া, দেবশ্রী রায় এবং সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কেও এই শোয়ের সঞ্চালিকা হিসেবে দেখা গেছে এর আগে। তবে তাদের সকলকে ছাপিয়ে গেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
View this post on Instagram