গত বছর মুক্তি পেয়েছিল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) অভিনীত ফিল্ম ‘শ্রীমতী’। কিন্তু মুক্তির মাত্র কয়েকদিনের মাথায় প্রায় হঠাৎই প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরে যায় এই ফিল্ম। রীতিমত ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম নিয়ে রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। কিন্তু চলতি বছর ‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’-য় ‘শ্রীমতী’-র জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন স্বস্তিকা। ফিল্মফেয়ারের ট্রফি হাতে নিয়ে এই সন্ধ্যায় তিনি জানালেন, ‘শ্রীমতী’ সরল, সাদাসিধে ফিল্ম হলেও তাঁর তেইশ বছরের কেরিয়ারে কখনও এত ইমোশন কোনো ফিল্মের ক্ষেত্রে অনুভব করেননি বলে জানালেন স্বস্তিকা।
‘শ্রীমতী’-র শুটিংয়ের সময় স্বস্তিকার বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় (Santu Mukherjee) প্রায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। স্বস্তিকা শুটিং সামলে প্রতিদিন বাবার সাথে দেখা করতে যেতেন। ‘শ্রীমতী’-র ফিল্ম ক্লাইম্যাক্সের শুটিংয়ের দিন প্রয়াত হন সন্তুবাবু। কিন্তু সেদিন কথার খেলাপ না করে সারাদিন শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা। তিনি নিজেও জানেন না, কি করে তা সম্ভব হয়েছিল। তবে স্বস্তিকার মনে হয়, তাঁর পিতৃ আশীর্বাদের কারণেই সেদিন শুটিং করতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁদের পরিবারে এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। স্বস্তিকার কথা থেকেই জানা গেল সন্তুবাবুর জীবনের একটি বিশেষ ঘটনা।
নামী অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও সন্তুবাবু ব্যক্তিগত জীবনকে স্পটলাইটের আড়ালে রাখতে পছন্দ করতেন। এদিন স্বস্তিকা তুলে ধরলেন তাঁর বাবার জীবনের একটি বিশেষ ঘটনা। স্বস্তিকার ঠাকুর্দা যেদিন প্রয়াত হন, সেদিন দেবশ্রী রায় (Deboshree Roy)-এর সাথে টেকনিশিয়ান 2 স্টুডিওতে ‘বিরাজ বৌ’-এর শুটিং করছিলেন সন্তুবাবু। স্বস্তিকা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন একই ঘটনা তাঁর সাথে ঘটতে দেখে। ফিল্মফেয়ারের জন্য বাবার আশীর্বাদকেই নিজের পাথেয় মনে করেন স্বস্তিকা।
আগামী দিনে তাঁকে দেখা যাবে বাংলা ফিল্ম ‘শিবপুর’-এ। সম্প্রতি এই ফিল্মের জন্য পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর ফলে প্রযোজকের সাথে স্বস্তিকার অশান্তির সূত্রপাত হয়েছে।
View this post on Instagram