Mishmee Das: বিকিনিতে ছবি শেয়ার করে কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী মিশমি!
উনিশ শতক ও তারও পরে বাঙালি মহিলাদের গ্রীষ্মকাল মানে ছিল শুধুমাত্র দুই ফেত্তা দিয়ে সুতির শাড়ি পরা। সেই সময় সমাজে শায়া-ব্লাউজের প্রচলন ছিল না। পরবর্তীকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির হাত ধরে মেয়েদের সেমিজ পরার প্রচলন হল। শাড়ির সাথে সেমিজ পরে মেয়েরা লজ্জা নিবারণ করতে চাইলেও সেই সময় বাধা পেয়েছিলেন। তবে নারীকে কবেই বা কেউ দমাতে পেরেছে? ফলে ধীরে ধীরে সেমিজ ও পরবর্তীকালে শায়া-ব্লাউজ প্রবেশ করল অন্দরমহলে। কিন্তু একবিংশ শতকেও সমাজের চিন্তাধারা এখনও অবধি সেই একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই কারণেই অভিনেত্রী মিশমি দাস (Mishmee Das)-কে বিকিনি পরিহিত ছবি শেয়ার করে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হল।
সমাজের কিছু মানুষ মনে করেন, তাঁরা নারীর পোশাকের ‘ঠেকা’ নিয়ে রেখেছেন। ফলে তাঁদের মত অনুযায়ী, পুরুষ শার্টলেস হয়ে ঘুরে বেড়াতেই পারেন। কিন্তু নারী বিকিনি পরলেই দোষ হয়ে যায়। সম্প্রতি মিশমি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন সি-বিচে সূর্যাস্তের ছবি। সেই ছবিতে অবশ্য তিনিও উপস্থিত রয়েছেন। সূর্যাস্তের সাথে রং মিলিয়ে তাঁর পরনে রয়েছে হালকা কমলা রঙের বিকিনি। তবে এটি একটি পুরানো ছবি। এর আগে মিশমি গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় এই ছবি তুলেছিলেন তিনি। ওই সময় এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল মিশমিকে। কিন্তু তিনি উত্তর দিয়ে লিখেছিলেন, নেটিজেনরা সি-বিচে বিকিনি ছাড়া আর কি ধরনের পোশাক আশা করেন!
এতদিন পর আবারও নতুন করে মিশমির পুরানো ছবি ভাইরাল হতেই তাঁকে বডি শেমিং-এর সম্মুখীন হতে হল। অনেকে তাঁর রোগা চেহারাকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, প্যাকাটির মতো দেখতে। অনেকে লিখেছেন, এই ধরনের চেহারায় কেউ বিকিনি পরেন না। তবে বিরক্ত হলেও এবার এইসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি মিশমি।
বর্তমানে মিশমিকে দেখা যাচ্ছে ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে তাঁকে খল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।
View this post on Instagram