whatsapp channel
Hoop PlusTollywood

ছবিতে থাকা লম্বা ছেলেটি বাংলা সিনেমার অন্যতম সুপারস্টার, চিনতে পারছেন ইনি কে!

মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) এতগুলি বছর পেরিয়েও বাঙালির হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে জীবিত। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও তাঁকে কেউই অতিক্রম করতে পারেননি। একাধারে তিনি নায়ক ও বাঙালির ঘরের ছেলে। তাই প্রতিটি মুহূর্তে তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হয় স্মৃতি রোমন্থন। সপ্তাহান্তে যখন টলিউডের নায়িকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যনতুন ফটোশুট পোস্ট করতে ব্যস্ত, সেই সময় সাধারণ একটি সাদা-কালো সেকেলে ছবি ভেসে উঠল ইন্সটাগ্রামে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে , হাসিমুখে সাধারণ সাদা গেঞ্জি পরে বসে আছেন এক ভদ্রলোক। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তিনটি ছোট ছেলে। তাদের মুখেও স্মিত হাসি। তিনজনের পরনেই রয়েছে শার্ট ও কোট। অপেক্ষাকৃত একটু বড় ছেলেটির পরনে রয়েছে শার্ট ও কোটের সাথে সোয়েটার ও ধুতি। সম্ভবতঃ ছবিটি শীতকালীন সময়ে তোলা। অনেকেই হয়তো বলবেন, যদি শীতকালে ছবিটি তোলা হয়ে থাকে, তাহলে ছবির ভদ্রলোকের গায়ে কেন সোয়েটার বা কোট নেই। প্রকৃতপক্ষে, তৎকালীন সময় পুরুষদের অনেকেই রীতিমত ব্যায়াম করতেন। জিম বলে কোনো কিছুই ছিল না। কিন্তু বাড়িতেই যোগাসন অভ্যাস অনেকের দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত হয়ে উঠেছিল। এছাড়াও একটি বিশেষ ব্যাপার হল, সামান্য ঠান্ডা পড়লেই সেকালেও ছোটদের ছাড় ছিল না, একালেও নেই। মায়েরা জোর করে সোয়েটার পরিয়ে তবেই বাইরে যেতে দিতেন। এই ক্ষেত্রেও ঘটনাটি তেমনই।

ছবিটি যখন তোলা, সেই সময় তিনটি ছোট ছেলের মধ্যে কেউই জানতেন না, একদিন তাঁদের জন্য গৌরবান্বিত হবে ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় বংশ। সামান্য লম্বা ছেলেটি বদলে দেবে বাংলা সিনেমার ইতিহাসকে। ছবিতে ছেলেটির নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় (Arun Kumar Chatterjee)। কিন্তু জন্মগ্রহণের পর নবজাতকের নাম মাতামহ দিয়েছিলেন উত্তম। চপলা দেবীর পছন্দ হয়নি নামটি। মনে হয়েছিল বড্ড সেকেলে। কিন্তু ভবিষ্যতের গর্ভে বেড়ে উঠেছিল এই নামটিই। অরুণ নামে প্রথম সিনেমা ছিল ‘মায়াডোর’। ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করলেও মুক্তি পায়নি সেই সিনেমা। অরুণ থেকে পরিবর্তিত হয়ে অরূপ ও সবশেষে উত্তম। মাতামহের দেওয়া নামেই মহানায়ক হয়ে উঠলেন সর্বকালের সেরা অভিনেতা উত্তম কুমার।

ছবির নিচে কমেন্ট করে মহানায়কের পৌত্র গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gaurav Chatterjee) জানিয়েছেন, দাদুকে চিনতে পেরেছেন তিনি। উচ্ছ্বসিত অভিনেতা জন ভট্টাচার্য (John Bhattacharya)-ও। নেটিজেনরা ভেসেছেন নস্টালজিয়ায়। বহু বছর পরেও শেষ হয়নি এই পথ। সেলুলয়েড দিয়েছে অমরত্ব। ক্ষুণ্ণ হয়নি উজ্জ্বলতা। কারণ তিনিই বাঙালির একমাত্র মহানায়ক।

whatsapp logo