কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) ও নিসপাল সিং রাণে (Nispal singh Rane)-এর বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল তৎকালীন মিডিয়ায় হইচই। কোনোদিনই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে স্পটলাইটে আনেননি কোয়েল। ফলে তাঁর অনুরাগীরা যখন জানতে পারলেন, কোয়েল ও রাণে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত, ভাবতে পারেননি তাঁরাও। কিন্তু শোনা যায়, কোয়েলের একটি পোস্টার দেখে একবার রাণে বলেছিলেন, একদম নায়িকার মতো দেখতে। সত্যিই পরবর্তীকালে কোয়েল হয়েছেন সফল নায়িকা। তথাকথিত প্রেমিক-প্রেমিকাদের মতো প্রায়ই কফি ডেটে যাওয়ার সময় না পেলেও কোয়েল ও রাণের মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকত। আর পাঁচটি বাঙালি পরিবারের মতোই কোয়েলের উপরেও আসতে থাকে বিয়ের চাপ। শেষ অবধি তিনি ও রাণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোয়েল সেই সিদ্ধান্ত মজাদার ভাবে বাড়িতে জানিয়েছিলেন।
ঘটনাটি কোয়েল নিজেই জানিয়েছেন। একদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সাড়ে আটটার সময় কোয়েল হঠাৎই তাঁর মা দীপা মল্লিক (Dipa Mallick)-কে বলেন, তিনি রাণেকে বিয়ে করতে চান। দীপা প্রথমে চমকে গেলেও তারপরেই পরিবারের বাকি সদস্যদের ফোন করে জানিয়ে দেন, তাঁর মেয়ে বসতে চলেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। এরপর রাণেকে ফোন করা হয়। তাঁর ঘুম ভাঙিয়ে জানানো হয়, কোয়েল তাঁকে বিয়ে করতে চান। হঠাৎই ঘুম ভেঙে এই কথা শুনে হতচকিত রাণে কোয়েলকে ফোন করে শুধু বলতে পেরেছিলেন, এত তাড়াতাড়ি বিয়ে!
View this post on Instagram
তবে রাণের পরিবারও তাঁর বিয়ের কথা ভাবছিলেন। ফলে আর দেরি হয়নি। বিয়ের কার্ডে অবশ্য কোয়েলের পিতৃদত্ত নাম রুক্মিণী মল্লিক (Rukmini Mallick) লেখা হয়েছিল। বিয়ের দিন সকালে শিখ রীতি মেনে গুরুদ্বারায় কোয়েল ও রাণের বিয়ে হয়। সন্ধ্যার লগ্নে বাঙালি রীতিতে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তবে এই বিয়ে অন্যান্য বিয়ের মতো বিজনেস ডিল ছিল না। রাণের প্রযোজনা সংস্থা নির্মিত ফিল্মে খুব কমই কোয়েলকে নায়িকা হিসাবে দেখা গেছে। অপরদিকে কোয়েলের কেরিয়ারের সিদ্ধান্তেও হস্তক্ষেপ করেন না রাণে।
কোয়েল ও রাণের জীবনকে সম্পূর্ণ করেছে তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান কবীর (Kabir)। যত কাজই থাকুক না কেন, মল্লিক বাড়ির বনেদী দুর্গাপুজোয় প্রতি বছর উপস্থিত থাকেন রাণে।
View this post on Instagram