আকাশে দেখা মিলবে অন্যরকম চাঁদের, বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী!
সূর্য অস্ত যাবে আর আকাশে চন্দ্র উঠবে তা তো রোজই হয়। এতে বিশেষত্বের কি আছে। হ্যা এতেও কিছুটা হলেও বিশেষত্ব আছে। রাতের আকাশে মলিন যে চাঁদ আমরা দেখি তার মধ্যে বেশ অনেকটাই বিশেষত্ব আছে। আজ আবার বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ তাই জ্যোৎস্না রাত কিনা বলা একটু দায় আছে। আজ আকাশে যে চাঁদ উঠবে তার আবার একটা স্পেশাল নাম আছে। নাম তার বিভার মুন। হ্যা সুপার মুন যেমন আছে তেমনই আছে বিভার মুন। আর এই নাম কে দিয়েছেন জানেন? এরকম নাম করণ করেছে আমেরিকা। ২০২০ কথা যদি বলা যায় সত্যিই একটি অবাক করা বছর। সবকিছু একেবারে আচমকা, গত অক্টোবরের পরে ফের বিশ্ববাসী দেখতে চলেছে নভেম্বরের এই সুপার মুন।
কিছুদিন আগেই ব্লুমুনের সাক্ষী ছিল গোটা বিশ্ববাসী। গত অক্টোবরেই মিলেছিল ব্লু মুনের দেখা। আর ১মাস হতে না হতেই এবার আবার বিভার মুন। তবে এই পূর্ণিমার সাথে ঘটবে আরেকটি বিরল ঘটনা, আজ পূর্ণিমার এই তিথিতে চাঁদ একেবারে গোল থালার মত সারা পৃথিবীতে নিজের ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে দেবে সারা আকাশে। কিন্তু এর স্থায়িত্ব বেশিক্ষণের নেই। কিছুক্ষণ পরেই চাঁদের কিছুটা অংশ ঢেকে যাবে পৃথিবীর ছায়ায় , যার ফলে দেখা যাবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ যাকে পেনামব্রা চন্দ্রগ্রহণ বলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ভাষায়।
আপাতত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই পেনামব্রা চন্দ্রগ্রহণ বিশ্বের সব জায়গা থেকে দেখা নাও যেতে পারে, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু আংশিক অংশ থেকে দেখা যেতে পারে এই চন্দ্রগ্রহণ। ভারত থেকে দেখা যাবে কিনা তা এখনো সঠিক জানেননা গবেষকরা। তবে বিভার মুন নিয়ে যদি কথা বলতে হয়, তাহলে প্রথমেই বলতে হয় বিভার মুন সুপারমুন’ এর একটি অংশ। সুপার মুন সবসময় কোন কোন বছর দেখা নাও যেতে পারে। পূর্ণিমা মানেই উজ্জ্বল চাঁদ, কিন্তু উজ্জ্বল চাঁদ মানেই সুপারমুন নয়। সুপারমুন নির্ভর করে চাঁদের অবস্থান, সূর্য থেকে চাঁদের পারস্পরিক দূরত্ব ও নিজের কক্ষপথের ওপর।
এই চাঁদ যখন নিজের কক্ষপথে করে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর একেবারে কাছে চলে আসে, তখন তাকে বলা হয় পেরিজি। আর এই পেরিজি ঘটার সময়েই হয় সুপারমুন। মনে আছে আমরা ছোটবেলাতে ভূগোলেে কি পড়েছিলাম? আমরা অনেক ছোটবেলায় পড়েছি পূর্ণিমার কারণেই হয় নাকি নদীতে জোয়ার ভাটা, আর সেই আকর্ষণ আরো বেশি হয় যখন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব সবথেকে কম থাকে। পূর্ণিমা মানেই চাঁদ, পৃথিবী, সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে। আর সেই কারণেই চাঁদ ও সূর্যের সমান আকর্ষণে জোয়ার ভাটা হয়। আর আজ এই একই কারণে আকাশে দেখা মিলবে বিভার মুন।