Cyclone Update: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়; ১৭০ কিমি বেগেই ল্যান্ডফল করেই দাপট দেখাবে ‘বিপর্যয়’
অভিশপ্ত মে মাসে বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাব দেখেছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। আয়লা, আমফানের থেকেই বেশি শক্তি সঞ্চয় করে আঘাত হেনেছে এই ঘূর্ণিঝড়। সেটি ২১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উপর। যার জেরে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে সেই সাইক্লোন বাংলা বা ভারতে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। তবে ভারতের জন্য এবার অন্য এক আতঙ্ক হল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।
এই ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে আসন্ন বিপর্যয়ের বিষয়টি এখন ভাবাচ্ছে সকলকে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের যা ভয়াল রূপ দেখেছে দেশবাসী, তাতে সাইক্লোনের নাম শুনলেই অনেকের বুক কেঁপে ওঠে। তবে মৌসম ভবনের অনুমান অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তেমন চিন্তার কারণ নেই দেশবাসীর। কারণ এই ঝড় ভিনদেশে ল্যান্ডফল হতে পারে। একনজরে দেখে নিন ‘বিপর্যয়’-এর বিস্তারিত।
■ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি: দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এবং পূর্ব মধ্য আরব সাগরেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বিপর্যয় কতটা ধ্বংসলীলা তৈরি করবে এবং কোন উপকূলে শেষ পর্যন্ত আছড়ে পড়বে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদেরা। আপাতত, এই ঘূর্ণিঝড় ভারতবর্ষের উপকূল গোয়া থেকে ৯০০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে।
■ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি: ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের মৌসম ভবন। আপাতত, গুজরাট উপকূলের দিকে এটি ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে আবহাওয়াবিদদের। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামিকাল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় অবস্থান করবে দক্ষিণ আরব সাগর এবং পশ্চিম মধ্য আরব সাগরে; শুক্র ও শনিবার এটি মূলত দক্ষিণ আরব সাগরে অবস্থান করবে; রবিবার এটি আরও এগিয়ে আরও উত্তরে গিয়ে মধ্য এবং উত্তর আরব সাগরে অবস্থান করবে।
■ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল: বিশ্বের বিভিন্ন মডেল জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাট উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে আবার বাঁক নিয়ে ওমান উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় আদৌ কোনও উপকূলে আছড়ে পড়বে কি না, তা নিশ্চিত বিশ্বের আবহাওয়া মডেলের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে শেষ পর্যন্ত ওমান উপকূলের কাছাকাছি এটি সমুদ্রে মিলিয়ে যেতে পারে। আপাতত, গুজরাট উপকূল পর্যন্ত নজর থাকবে ভারতের মৌসম ভবন সহ আবহাওয়াবিদদের। সেই সময় এর গতিবেগ সমুদ্রে ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় অর্থাৎ, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।