whatsapp channel
Hoop Life

নতুন চুল গজানোর পাঁচটি ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে চুল নিয়ে প্রত্যেকেরই সমস্যা। পুরুষ, নারী উভয়েই নির্বিশেষে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। এর জন্য আমাদের পরিবেশ এবং আমাদের জীবনযাত্রা অনেকখানি দায়ী। অতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ এবং মানসিক চাপের জন্য ক্রমাগত চুল পড়তে থাকে। এছাড়াও দায়ী খাদ্যাভ্যাস, যা চুল পড়ে যাওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী।

বাইরের খাবার বেশি খাওয়া জাঙ্কফুড, বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে চুলের দুর্দশা হয়। এছাড়াও আরেকটি অন্যতম কারণ হলো চুলের উপর কেমিক্যাল এর ব্যবহার। আগেকার দিনের মা ঠাকুমার বলতেন, চুলে তেল মাখতে কিন্তু এখনকার প্রজন্ম তেল মাখা ছেড়ে দিয়েছে। তেল মাখলে তাদের স্টাইলে খানিকটা ঘাটতি হয় কিন্তু তারা এইটা বুঝতে পারে না যে স্টাইল করতে গিয়ে যদি মাথায় টাক পড়ে যায় তাহলে আর স্টাইলটা কি দিয়ে করবে? কিন্তু চিন্তা নেই প্রাকৃতিক কতগুলি উপাদান দিয়েই টাকে চুল গজাতে পারে এরকম প্রমাণ বিশেষজ্ঞরা করেছেন।

১) নারকেল তেল: চুলে নিয়মিত নারকেল তেলের ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশী মজবুত হয়। প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার সময় চুল ভালো করে আঁচড়ে নারকেল তেল একটু গরম করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে দিন। প্রতিদিন একই নিয়ম করে করতে হবে।

২) আমলকি: শীতকালে প্রচুর পরিমাণে আমলকি পাওয়া যায়। আমলকি রোজ একটা করে খেতে পারেন। তাছাড়াও পরিমাণমতো নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকি কুচি করে কেটে নিয়ে ফুটিয়ে আমলকীর তেল তৈরি করে রাত্রিবেলা মাথায় মাসাজ করুন।

৩) ভেষজ শ্যাম্পু: ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করা শুরু করুন। রিঠা, শিকাকাই, এবং আমলকি শুকনো ভালো করে জলের মধ্যে ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করুন ভেষজ শ্যাম্পু। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই দিয়ে শ্যাম্পু করুন।

৪) জবা ফুল: বেশ কয়েকটা লাল জবাফুল তুলে এনে নারকেল তেলের মধ্যে ফুটে রাখুন। এই তেল প্রতিদিন রাত্রে বেলা শুতে যাওয়ার সময় মাথায় ম্যাসাজ করুন।

৫) কারি পাতা: কারি পাতা চুলের জন্য ভীষণ ভালো একটি উপাদান। হয়তো এই কারণেই দক্ষিণ ভারতের মানুষের মাথায় এত চুল। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠিয়ে দু’তিনটে কারি পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন কিংবা কারিপাতা ফোটানো জল পান করুন। এছাড়াও নারকেল তেলের মধ্যে এক চামচ মেথি এবং দশ-বারোটা কারিপাতা ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।

উপরের এই ঘরোয়া উপাদান গুলি নিয়মিত পালন করে চলতে পারলে আপনার টাকেও চুল গজাবে। তবে অবশ্যই এর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে খানিকটা পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার হরমোনাল যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

whatsapp logo