Bhojpuri Song: লাল রঙের লেহেঙ্গা-চোলিতে খেসারিকে গরম করলেন আম্রপালি, বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না
ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকা স্তম্ভগুলির মধ্যে অন্যতম খেসারিলাল যাদব (Kheshari lal Yadav)। অনেকেই হয়তো অবাক হতে পারেন একজন তারকার নাম ‘খেসারি’ কেন! প্রকৃতপক্ষে, খেসারির আসল নাম শত্রুঘ্ন যাদব (Shtrughan Yadav)। গায়ক হিসাবে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করার আগে জনপ্রিয় হতে চেয়েই তিনি নিজে বেছে নিয়েছিলেন ‘খেসারি’ নামটি। এর কারণ হিসাবে গায়ক-অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন একটি ঘটনা। শৈশবে। শত্রুঘ্ন ওরফে খেসারি খুব দ্রুত কথা বলতে শিখে গিয়েছিলেন। তিনি এত বেশি কথা বলতেন, বিরক্ত হয়ে যেতেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ফলে তাঁরা শত্রুঘ্নকে ‘খেসারি’ বলে ডাকতেন। খেসারি একধরনের শস্যদানা যা কোনোরকম সার ছাড়াই বেড়ে ওঠে ও ব্যাপক হারে তার বিস্তার ঘটে। উত্তর ভারতে খেসারির ডালের বড়া বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়। ফলে শত্রুঘ্ন যখন ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তখন একটু অন্যরকম নাম রাখতে চেয়েছিলেন তিনি যা দর্শকদের মনোযোগ তাঁর প্রতি ঘুরিয়ে দেয়। ফলে নিজের ডাকনাম ‘খেসারি’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের পুরুষালি সৌন্দর্য, অভিনয় ও গায়কী দিয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন খেসারিলাল। অংশগ্রহণ করেছিলেন কালার্স চ্যানেলের জনপ্রিয় শো ‘বিগ বস’-এও। কিন্তু বিগ বসের ঘর থেকে খুব শীঘ্রই এলিমিনেট হয়েছিলেন তিনি। তবে শোয়ে খেসারি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন তাঁর ভদ্র ব্যবহারের জন্য। ‘বিগ বস’ থেকে এলিমিনেট হলেও খেসারির জনপ্রিয়তা ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বেড়ে গিয়েছিল। দীনেশ লাল যাদব নিরাহুয়া (Dinesh Lal Yadav Nirahua)-র সাথে আম্রপালি দুবে (Amrapali Dubey)-র হিট জুটি ভেঙে তৈরি হয়েছিল খেসারি ও আম্রপালির জুটি। এই জুটি হয়ে ওঠে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেনসেশন।
2018 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মরদ আভি বাচ্চা বা’ গানে খেসারি ও আম্রপালির এনার্জেটিক পারফরম্যান্স সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। গানের শুরুতেই একটি খাটিয়ায় শুয়ে মোহময়ী রূপে ধরা দেন আম্রপালি। তাঁর পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা-চোলি। খেসারির পরনে লাল রঙের টি-শার্ট ও ডেনিম। টি-শার্টের ভি নেকলাইনের কারণে উন্মুক্ত রয়েছে তাঁর হিভেজ। এই গানে খেসারি ও আম্রপালির বোল্ডনেস দর্শকদের যথেষ্ট পছন্দ হয়েছিল। মিউজিক ভিডিওটির ভিউ ইতিমধ্যেই পঁচিশ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে যা নিঃসন্দেহে রেকর্ড।
গানের মূল আকর্ষণ আম্রপালির শরীরের কার্ভ যা নৃত্যশৈলীর মাধ্যমে সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। হাই-থাই স্লিটেড স্কার্টের মাধ্যমে উন্মুক্ত রয়েছে তাঁর মসৃণ পা। গানটির মধ্যে কিছু দৃশ্য হয়তো অশালীন মনে হতে পারে, কিন্তু গানের ভাষার কারণে এই ধরনের পিকচারাইজেশনের প্রয়োজন ছিল। এই গানের ভিডিওর নিচে কমেন্ট সেকশনে নেটিজেনদের একাংশ লিখেছেন, গানটি শুনে তাঁদের মানসিক অবসাদ অনেকটাই কমে যায়।