Income Tax: ৩১ শে জুলাইয়ের পর আয়কর দিলে এই সমস্যাগুলির মুখোমুখি হতে হবে
ভারতের প্রতিটি নাগরিক, যারা নিয়মিত সরকারি বা বেসিরকারী কোনো সংস্থা থেকে উপার্জন করেন, তখন তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। এই ধরনের আয়ের উপর প্রদত্ত করের তথ্য আয়কর বিভাগে জানানো হয়। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত।
ইতিমধ্যে গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। আর তার সঙ্গে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ জুলাই। এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী যারা করযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন তাদের এই তারিখের মধ্যেই কিন্তু আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে এই তারিখ যদি কেউ মিস করে যান, অর্থাৎ এই তারিখের আগে আয়কর জমা দিতে না পারলে ঠিক কি হবে? এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই আলোচনা হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলেই আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। আর নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে আপনাকে বিলম্বিত আয়কর জমার শেষ তারিখের আগে সেটি করে ফেলতে হবে। এই তারিখটি হল ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ অবধি এই জরিমানা নেওয়া হত না। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে এই জরিমানা চালু করেছে কেন্দ্র। সেই সময় ৩১ মার্চ অবধি এই বিলম্বিত আয়কর দাখিল করা যেত। তবে ২০২১ সালের বাজেটে এই নিয়মে সংশোধন করে বিলম্বিত আয়কর জমার সময় তিনমাস কমিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও 234-F ধারার অধীনে বিলম্বিত আয়কর অর্ধেক করা হয় এই বছরেই।
এছাড়াও বিলম্বিত আয়কর জমার ক্ষেত্রে সুদও দিতে হয় করদাতাদের। এক্ষেত্রে আগের কোনো আয়কর বাকি থাকলে বিলম্বিত আয়কর জমার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হবে। টুই সময়ের আগে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে নেওয়াই শ্রেয়।