বুড়ো বয়সে থাকবেনা রোজগারের চিন্তা, সরকারি চাকরি না করেই পেনশন পাবেন এইভাবে
ভারতে অবসর গ্রহণের পর চাকুরিজীবীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনকে পেনশন যোজনা বলা হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পেনশন ব্যবস্থা অনেক সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও পেনশন ব্যবস্থাকে থিতু করেছে সরকার। ফলে অনেক সরকারি ও বেসরকারি চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে অবসর জীবনের জন্য চিন্তাভাবনা হয়েই থাকে।
এর মাঝেই রয়েছে নানারকম বিনিয়োগের ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্কিমে কর্মরত অবস্থায় মাসিক কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই অবসরকালীন জীবনে সেখান থেকে মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আর পোস্ট অফিসের এরকম ধরণের স্কিমগুলির মধ্যে অন্যতম হল, ‘সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম’ (SCSS)। এই স্কিমের অধীনে, আপনি ২ লক্ষ টাকা অবধি সুদ পাবেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম সেরা প্রকল্প। এতে একসাথে টাকা জমা করলে বিনিয়োগকারীরা ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এর সাথে যারা VRS নিয়েছেন তারাও এর সুবিধা নিতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, এই স্কিমে আপনি যদি একবারে ৫ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে আপনি প্রতি তিন মাসে ১০,২৫০ টাকা সুদ পাবেন। এ ছাড়া বার্ষিক ভিত্তিতে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার সুদ পাওয়া যাবে। আপনি যেকোনো পোস্ট অফিস বা সরকারি ব্যাঙ্ক বা বেসরকারি ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনার ২ টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, যেকোনো বৈধ পরিচয় প্রমাণপত্রের কপি এবং অন্যান্য KYC নথিপত্র ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে। এতে আপনি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই সুদের টাকা পাবেন।
আর এই স্কিমে ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করছেন অনেক বয়স্ক নাগরিকই। গত ১ বছরের পরিসংখ্যান দেখলে এটাই বোঝা যাবে যে পোস্ট অফিসের এই স্কিম দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গ্রাহকদের কাছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের প্রথম তিন মাসে ৬,৫২,০০০টি নতুন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।