চারিদিকে ক্রমশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা একা হয়ে যাচ্ছেন। এর আগে কলকাতার সল্টলেক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বৃদ্ধের মৃতদেহ। কিছুদিন আগেই তাঁর মৃত্যু হলেও একা থাকার কারণে কেউই জানতে পারেননি। করোনাকালের বহু আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা বর্তমানে হয়তো মানুষের স্মৃতি থেকে বিলীন। কিন্তু এবার মায়ানগরী অর্থাৎ মুম্বইয়ের বুকে একই ঘটনার ছায়া। সকলের অগোচরে প্রয়াত হলেন মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তী অভিনেতা ও পরিচালক রবীন্দ্র মহাজানি (Ravindra Mahajani)। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে। শুক্রবার 14 ই জুলাই পুণের তালেগাঁও-এর জারবিয়া সোসাইটির তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রবীন্দ্রর পচাগলা দেহ। জানা গিয়েছে, গত আট মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটে একাই ভাড়া থাকছিলেন রবীন্দ্র। তাঁর পুত্র গশমির মহাজানি (Gashmeer Mahajani) হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির যথেষ্ট জনপ্রিয় অভিনেতা।
View this post on Instagram
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত তিন দিন আগে প্রয়াত হয়েছেন সাতাত্তর বছর বয়সী রবীন্দ্র। শুক্রবার বিকালে তালেগাঁও-এর জারবিয়া সোসাইটির ওই তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন। তাঁরা তালেগাঁও থানায় অভিযোগ করলে সিনিয়র ইন্সপেক্টর রঞ্জিত সাওয়ান্ত (Ranjit Sawant) দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। পুলিশের তৎপরতায় ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় রবীন্দ্রর পচা গলা মৃতদেহ। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন দিন আগে রবীন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তালেগাঁও থানার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে রবীন্দ্রর পুত্র গশমিরের সাথে।
View this post on Instagram
গশমির পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গত কয়েকদিন ধরে বাবার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন ধরছিলেন না রবীন্দ্র। এরপর শুক্রবার পুণেতে তাঁর এক বন্ধুকে ফোন করে রবীন্দ্রর ফ্ল্যাটে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেছিলেন গশমির।
View this post on Instagram
স্টারকিড ছিলেন না রবীন্দ্র। তৎকালীন বম্বের রাস্তার ট্যাক্সিচালক থেকে নিজের অধ্যবসায় তাঁকে বানিয়েছিল সফল অভিনেতা। ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ফিল্মে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই ফিল্ম তাঁকে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। মারাঠি ছাড়াও একাধিক হিন্দি ও গুজরাতি ফিল্মে অভিনয় করেছেন রবীন্দ্র। শেষবার তাঁকে 2019 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিল্ম ‘পানিপথ’-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এদিন পুণের বৈকুন্ঠ শ্মশানে গশমির তাঁর বাবা রবীন্দ্রর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
View this post on Instagram