ডিভোর্সের ঘোষণার পরেও হাতে শাঁখা-পলা, নবনীতাকে ‘ফুটেজখোর’ তকমা নেটিজেনদের
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাস (Nabanita Das)-এর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে চলছে তুমুল জল্পনা। নবনীতার মন খারাপ করা পোস্ট দেখে তাঁর অনুরাগীদের একাংশ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি জিতুর সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। কিন্তু শেষ অবধি জিতু ও নবনীতা তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সুনিশ্চিত করেন। কিন্তু এর মধ্যেই নবনীতা ইন্সটাগ্রামে একটি সাদা-কালো ছবি শেয়ার করেছিলেন যেখানে তাঁর পরনে রয়েছে বেনারসি শাড়ি, মাথায় ঘোমটা। এই ছবিতে নববধূর সাজে ধরা দিয়েছিলেন নবনীতা। এরপর রবিবার আচমকাই ফেসবুকে তিনি একটি ছবি শেয়ার করেছেন যাতে তাঁর পরনে রয়েছে নীল রঙের বেনারসি ও হাতে শাঁখা-পলা। ছবিটি শেয়ার করে নবনীতা লিখেছেন, ‘এমনি’।
কিন্তু তাঁর ‘এমনি’ ছবি শেয়ার মেনে নেয়নি নেটদুনিয়া। ফলে যথেষ্ট কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। নবনীতাকে নেটিজেনদের একাংশ লিখেছেন, আগে তাঁদের ঠিক করা উচিত, তাঁরা কি চান! কারণ অযথা লোক হাসানোর প্রয়োজন নেই। এত নিজেদের ছোট করা হয়। অনেকে লিখেছেন, বিয়ে ভাঙার জন্য সত্যিই বড় কারণ নবনীতা ও জিতুর জীবনে এসেছে কিনা তা নিয়ে সকলের সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নবনীতা মনে হয় নিজেই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি কি করতে চান! অনেকের মতে, নবনীতা ইচ্ছাকৃত তাঁর পুরানো ছবি শেয়ার করেছেন।
View this post on Instagram
তবে নবনীতা ও জিতু জানিয়েছিলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাঁদের দুজনের। এমনকি জিতুর সাথে নবনীতার বন্ধুত্ব থাকবে বলে মনে করেন তাঁরা। গত তিন মাস ধরে নবনীতা ও জিতু আলাদা থাকছিলেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কেউই তা জানতেন না। ফলে নবনীতাকে জিতু সংক্রান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। এই কারণে কয়েক সপ্তাহ আগে জিতুর সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা ফেসবুকে ঘোষণা করেন নবনীতা।
2019 সালের 6 ই মে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন জিতু ও নবনীতা। কিন্তু এই বিয়ে সমর্থন করেননি তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তবে জিতু ও নবনীতা সবসময়ই একে অপরের পাশে থেকেছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে বিয়ের চার বছরের মধ্যেই ঘটল তাঁদের বর্ণময় প্রেম ও বিবাহ জীবনের ইতি।