ইদানিং বেশ চর্চায় রয়েছেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। একাধিক সাক্ষাৎকার মারফত জানা যাচ্ছে তার অতীত জীবনের কাহিনী থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সবটাই। সম্প্রতি, আরো একটি সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রাক্তন স্বামী ও বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। এই মুহূর্তে শোভন বাবুর সঙ্গে বেশ সুখেই রয়েছেন বৈশাখী, সঙ্গে রয়েছে মেয়ে মেহুল। গত বছর এপ্রিল মাসে বৈশাখী ও তার প্রাক্তন স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আইনি টিকা পাওয়ার পর থেকে বৈশাখীর সঙ্গে শোভন বাবুর (Baisakhi Banerjee-Sovan Chatterjee Relationship) সম্পর্ক আরো জোরালো হয়।
এদিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় বলেন যে এক প্রকার বিপ্লব করেই তিনি এই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তিনি যখন বিয়ে করতে যান তখন স্বামী মনোজিৎ মন্ডলের ব্যাংকে ছিল মাত্র ১১ হাজার টাকা, যেটা বৈশাখীর একদিনের খরচ ছিল। বাড়ির সবার কথা অমান্য করে বিয়ে করে ছিলেন বৈশাখী। ইচ্ছে ছিল জীবনটাকে অন্যভাবে দেখবেন। অথচ সেপ্টেম্বরে বিয়ের পরপর বুঝলেন প্রেমিক আর স্বামী এক নয়। ডিসেম্বর নাগাদ শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে এসে ওঠেন। অবশ্য, এই ব্যাপারে বৈশাখী বলেন যে তার কাছে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসাটাই ডিভোর্স ছিল। একটা কাগজে সই করাটা তার কাছে ডিভোর্স নয়। এমনকি মেয়ে হওয়ার পরেও যখন জীবন বদলায়নি তখন থেকে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে নেন বৈশাখী। এরপরেই জীবনে আসে প্রাক্তন মেয়র শোভন বাবু। যদিও, বৈশাখীর প্রাক্তন স্বামীর জীবনেও এক মহিলা এন্ট্রি নেন।
বৈশাখী এই ব্যাপারেও স্বাধীনচেতা ছিলেন। তিনি তার অসুস্থ স্বামীকে নিজের বাড়িতেই রেখেছিলেন। এমনকি স্বামীর দ্বিতীয়বার বিয়ে দিতেও চেয়েছিলেন, কিন্তু তার মনে হয় ওই মেয়ে বিয়ে করার যোগ্য নয়। একেবারে বৈশাখীর মুখের শব্দে,‘এই মহিলা যদি বিয়ে করার মেটিরিয়াল হত, তাহলে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের বিয়ে দিতাম। ওই বাড়ির চাদরটাও আমার কিনে পাঠিয়ে দেওয়া, সেই চাদরে ওই মহিলা শুচ্ছেন, আমার রাতপোশাক পরে রাত কাটাচ্ছেন ওখানে। আমার ওই বাড়িতে আমার বাবা-মা সংসার করেছেন,আমি নিজে ৯ বছর সংসার করেছি। সেখানে এই মহিলাকে নিয়ে তোমার ঢোকা চলবে না’।
একটা সময় প্রেসিডেন্সি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন বৈশাখী। পরবর্তীতে, কলকাতার নামী কলেজের অধ্যাপিকা হয়ে ওঠেন। স্বচ্ছল-সভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি এখন শুধুই শোভন বাবুর বিশেষ বান্ধবী ও অবশ্যই একজন মা।