Indian railways: এবার থেকে ট্রেনে ঘুমালেও হবে জরিমানা, জানুন রেলের নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
পরিবারের সাত জন মিলে যাচ্ছে গোয়া ট্যুর। দুজন ষাট ঊর্ধ্ব, তিনজন ইয়ং, একজন বাচ্চা, আর একজন মধ্যে বয়সী। হাওড়া থেকে ট্রেন। যাওয়ার সময় ট্রেন আর ফেরার সময় ফ্লাইট। এই চিন্তা ভাবনা করেই যাত্রা শুরু। এদিকে রাত ৮/৯ টা বাজতে না বাজতেই কানে এলো নাক ডাকার আওয়াজ। রাতে তো ঘুম এমনিতেই হয় না। একেকটা মানুষ একেক রকম, ঐদিকে সকাল ৭ টা বেজে গেছে অথচ ওঠার নাম নেই। কি করা যায়? ডাকবেন? নাকি রেগে মেগে মেজাজ দেখাবেন?
ট্রেনের যাত্রা খুবই সুন্দর। হতে পারে দীর্ঘকালীন যাত্রার ক্ষেত্রে অনেকে ফ্লাইট পছন্দ করে। কিন্তু, ফ্লাইটের ভাড়া যথেষ্ট বেশি। সাধারণ মানুষরা ফ্লাইটের আশা ছেড়ে ট্রেনের যাত্রাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, এতে করে সারা দিনে প্রচুর মানুষ ট্রেনেই যাতায়াত করেন। এহেন, কেউ যদি দীর্ঘক্ষণ ঘুমায় বা যদি নিজের ঘুম না হয় বা ঘুমের সময় কেউ যদি গান বাজনা করে তাহলে সেই যাত্রার আনন্দ চৌপাঠ হয়ে যায়। কি করবেন? জানেন কি ট্রেনের আইন?
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের যাত্রার সময় ঘুমের টাইম নির্ধারণ করা ছিল রাত ৯ টা থেকে পরের দিন সকাল ৬ টা পর্যন্ত। এতে করে অনেকেরই সমস্যা হত। অনেকেই আছেন যারা রাত ৮:৩০ টায় হয়তো ট্রেনে উঠলেন বা রাত ৯ টায় ট্রেনে উঠলেন তারা নিশ্চয় উঠেই ঘুমিয়ে যাবেন না। তাই ঘুমের সময় কমিয়ে দেওয়া হল।
এখন যাত্রীদের ঘুমের সময় হল রাত ১০ টা থেকে পরের দিন সকাল ৬ টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ঘুমোতে হবে যাত্রীদের। অর্থাৎ, সকাল ৬ টার সময় উঠে যেতে হবে। বিশেষত যারা লোয়ার বার্থে ঘুমোবেন তাদের উঠতেই হবে। রাতে ঘুম হয়নি বলে সকাল ৭/৮ টা বা তারও বেশি সময় ধরে ঘুমানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে যার আপার বার্থে সিট সে হয়তো ফায়দা নিতে পারে। এখন আপনি ভাবছেন ওই যে বয়স্ক দুজন গোয়া যাচ্ছেন তাদেরও কি সকাল ৬ টায় উঠতেই হবে? রেল কর্তৃপক্ষের আইন অনুযায়ী কোনো প্রেগন্যান্ট মহিলা বা বাচ্চা বা বয়স্ক ও অসুস্থ কেউ থাকলে সে লোয়ার বার্থে শুয়ে থাকতে পারেন, অন্যথা অন্য কেউ নির্ধারিত সময়ের বেশি ঘুমোতে পারবেন না।