Price Hike: শীঘ্রই কমবে চাল-গমের দাম! দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কমাতে বড়সড় পদক্ষেপ মোদি সরকারের
বর্তমান সময়ে অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। একইসঙ্গে রয়েছে বাড়তে থাকে মুদ্রাস্ফীতি। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্যবিত্তদের কাছে।
বর্তমানে চাল ও গমের দামেও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি দেখা গেছে। এখন সাধারণ বাজারে ১ কুইন্টাল চালের দাম রয়েছে ২,৯০০ টাকা। এদিকে মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে যে গত ৭ ই আগস্ট অবধি এক বছরে খুচরো বাজারে গমের দাম বেড়েছে ৬.৭৭% এবং পাইকারি বাজারে গমের দাম বেড়েছে ৭.৩৭% হারে। একইভাবে খুচরো বাজারে চালের দাম বেড়েছে ১০.৬৩% হায়রে এবং পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে ১১.১২% হারে।
তবে এবার এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যায় সমাধানের পথ খুঁজতে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কেন্দ্র সরকার। বিশেষ করে চলল ও গমের মূল্যবৃদ্ধি চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রকে। আর দেশের সিংহভাগ রাজ্যে এই দুটি শস্যই প্রধান খাদ্যবস্তু। তাই এবার এই দুটি শস্যকে খোলা বাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। জানা গেছে, চলতি মাসেই অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ টন গম এবং ২৫ লক্ষ টন চাল খোলাবাজারে বিক্রি করবে সরকার। সরকার ‘ওপেন মার্কেট সেল স্কিম’ (OMSS)-এর আওতায় খোলা বাজারে এই বিপুল পরিমাণ গম ও চাল বিক্রি করবে।
এই স্কিমের আওতায় ভারতের খাদ্যসুরক্ষা দফতর এই চাল ও গম বিক্রির দায়িত্বে ঠালবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ বাড়াতেই বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিকে গম ও চাল বিক্রি করার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তার কারণ গত ১ লা জানুয়ারি থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ আন্না যোজনার’ (PMGKAY) অধীনে সরকার খাদ্য নিরাপত্তা আইনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের সিধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। আর এবার এই সিদ্ধান্ত নিলো মোদি সরকার।