Hilsa Fish: বাংলাদেশের আড়াই কেজির ইলিশ মাছ বিক্রি হলো হাজার হাজার টাকায়
বর্ষাকাল আর বাঙালির পাতে ইলিশ পড়বে না, এমনটা তো হতেই পারে না। কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। ভাতের সঙ্গে মাছ খেতে গেলেই সর্বপ্রথম যে মাছের কথা মনে পড়ে, তা হল এই বর্ষাকালে ইলিশ মাছ। এবারে বাংলাদেশে যতই মাছ উঠুক না কেন মাছের দাম কিন্তু খুব একটা কমেনি। বড় মাছের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেই মাছের দাম। রবিবার বিকেলে প্রায় আড়াই কেজির একটি মাছ তেরো হাজার টাকায় বিক্রি করলেন এক মৎস্য ব্যবসায়ী, সাধারণত এত বড় মাছ খুব একটা জালে ওঠে না।
জানা যায়, রবিবার দিন সকালবেলা কুয়াকাটা সংলগ্ন এলাকায় এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ে আড়াই কেজির একটি ইলিশ মাছ। তারপরই এক মৎস্যজীবী মাছটি প্রায় এক হাজার টাকা লাভ পেয়ে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। উপসাগরের উপকূলে এত বড় বড় যে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা কিন্তু আগে খুব একটা দেখা যায়নি তবে এতে খুশি সকলে।
এবার আনন্দের কথা হল, বাংলাদেশ থেকে আসছে ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ। দুর্গাপুজোয় বাঙালির পেটে এবার ঢুকতে চলেছে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে শর্তের বিনিময়ে ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর থেকে ১লা সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইলিশের চাহিদার কথা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জানানো হয়। তবে আগের বছরে তুলনায় যে এ বছরে অনেক বেশি পরিমাণ ইলিশ আমাদের রাজ্যে ঢুকবে এমনটা বোঝা যাচ্ছে।
ইলিশ মাছ ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্য সীমান্তের মহাদেবপুর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আনা হবে, এমনটাই ভাবনা চিন্তা চলছে। যার ফলে খুব সহজেই মাত্র চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করেই মালদায় আনা সম্ভব হবে, বাংলাদেশের রূপোলি ইলিশ। সুখবর এইটাই যে বাংলাদেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, আর তার জন্যই সেই বাংলাদেশের মিষ্টি জলের মাছ এবার পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে।
আশা করা যাচ্ছে, মাছ আমদানি করার ফলে দুই দেশের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সম্ভাবনা যদি সত্যিই হয় তাহলে বাঙালির পাতে খুব কম দামে পদ্মার ইলিশ পড়বে, যা পেয়ে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি ভারতবর্ষের বাঙালিরা ও কিন্তু বেশ আনন্দ পাবেন । পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের যে একটা বড়সড় ঘাটতি রয়েছে তাও কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন।