মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) বাঙালির একান্ত আপন। ছিল না কোনো তারকাসুলভ আচরণ। বাঙালির ঘরের ছেলে ছিলেন তিনি। উত্তম যখন কেরিয়ারের শীর্ষে, সেই সময় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আগমন ঘটেছিল সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Shabitri Chatterjee)-র। অভাবে জর্জরিত সংসার চালাতে ঘরের মেয়ে সাবিত্রী সিনেমায় কাজ করতে এসেছিলেন। জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ দিয়ে শুরু করেছিলেন। একসময় একের পর এক সিনেমায় নায়িকার চরিত্রে নিপুণ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তী। উত্তমের বিপরীতে সাবিত্রীর অভিনয় সকলকে চমকে দিয়েছিল। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হয়েছিল উত্তম-সাবিত্রী জুটির চাহিদা। সহকর্মী হওয়ার পাশাপাশি সাবিত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উত্তম। সাবিত্রীর বাবা ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের পছন্দের মানুষ ছিলেন তিনি।
View this post on Instagram
তিলকে তাল করতে সমাজের কোনোদিনই সময় লাগেনি। ফলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রটে গিয়েছিল উত্তমের সাথে সাবিত্রীর সম্পর্কের গুঞ্জন। পরবর্তীকালে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল। মহানায়কের জন্মবার্ষিকীতে আজও বর্ষীয়ান সাবিত্রী স্মরণ করেন তাঁকে। দেবতার মতো মানুষটিকে নিয়ে এতদিন পর আর কিছু বলতে চান না সাবিত্রী। তাঁর যেন মনে হয়, মহানায়ক সম্পর্কে যাই বলুন, মিথ্যা বলা হবে। উত্তমকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন সাবিত্রী। অটুট রয়েছে তাঁর শ্রদ্ধা। এখনও ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সাবিত্রী। নির্দিষ্ট কল টাইমে স্টুডিওতে পৌঁছে যান তিনি।
View this post on Instagram
স্টুডিওয় পা রাখতেই প্রতিদিন সাবিত্রীর মনে হয়, উত্তম এখনও বেঁচে আছেন। এখনই হয়তো এসে জিজ্ঞাসা করবেন, কেমন আছেন সাবিত্রী! ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’-এর মতো হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছিলেন উত্তম-সাবিত্রী জুটি।
উত্তমকে ঘিরে রয়েছে বহু স্মৃতি। মহানায়কের বিশালতা এত বছর পরেও মাপার ক্ষমতা নেই কারও। বাঙালি জীবনের পরতে পরতে তিনি আছেন। নশ্বর শরীরে নয়, উত্তমকুমার বেঁচে আছেন বাংলা ফিল্মের হৃদয় হয়ে।
View this post on Instagram