Hoop News

Hilsa: দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশী ইলিশ ঢুকবে রাজ্যে, সেপ্টেম্বরেই এল বড়সড় আপডেট

আর কয়েকটা দিন পরেই শারদীয়ার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে আপামর বাঙালি। কারণ অক্টোবর মাসেই মা আসছেন বাংলার ঘরে ঘরে। আসছে দুর্গাপূজা। আর বছরের এই একটি বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে সাজোসাজা রব ওঠে গোটা রাজ্যে। মণ্ডপ থেকে ঘরবাড়ি, সবই সেজে ওঠে আলোয়। পাশাপাশি নতুন জামাকাপড় কেনার রীতিও রয়েছে কমবেশি সকলের মধ্যেই। তাই পুজো এলেই যে একের পর এক কাজ বেড়ে যায় আমাদের সকলের, তাতে কোনো সন্দেহই নেই।

আর দুর্গাপুজো মানেই ঘোরাফেরা, আড্ডা দেওয়া, সঙ্গে তৃপ্তি করে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া। পুজোর কয়েকটা দিন খাবার থালায় কোনো আপোষ করেনা বাঙালি। তাই মহালয়ার পর থেকেই ইলিশের চাহিদা বেড়ে যায় কলকাতার বাজারে। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের অন্যান্য বাজারগুলিতেও বাড়ে ইলিশের চাহিদা। কিন্তু পুজোর সময় তো আর বর্ষা থাকেনা। তাই টাটকা ইলিশের পরিবর্তে রাজ্যবাসীকে ভরসা করতে হয় বাংলাদেশী ইলিশের উপরেই।

তবে এবার পুজোর বাজারে ওপার বাংলার ইলিশকে ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। ইতিমধ্যে বামগলাদেশ থেকে মাছ আমদানিকারকদের একটি সমিতি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে একটি আবেদন করেছে। এই আবেদনে বলা হয়েছে যে প্রতি পূজায় উপহার হিসেবে যে ইলিশ পাঠায় বাংলাদেশ, এবছর কিছুটা দেরি হতেও পারে। তারাও চায় বাংলাদেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলুক। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে এখন যে মাছ আসে তা সাধারণত সে দেশের পুজোর উপহার। পুজোর এখন অনেকটাই দেরি রয়েছে। সেই কারণেই আগের থেকে এই আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দুর্গা পূজার আগে বাংলাকে ২,৯০০ টন ইলিশ উপহার দিয়েছে. তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ১,৩০০ টন ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তাই এই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে ২০-৩০ দিনের সময়ের পরিবর্তে কমপক্ষে ৬০ দিনের পর্যাপ্ত সময় যাতে তাদের দেওয়া হয়।

■ কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম
● ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ : ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি কেজি

● এক কেজি ওজনের ইলিশ : ১১০০-১৩০০ টাকা প্রতি কেজি

● এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ : ১৩০০-১৮০০ টাকা প্রতি কেজি

Related Articles