Govt Loan: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সুখবর, ৫০ হাজার টাকা মিলবে এই উপায়ে
আজকাল দেশে বেকারত্ব বাড়ছে দিনের পর দিন। তাই অনেকেই স্টার্ট-আপ বা ছোটখাটো ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা করছেন। তবে ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর শুরু করা তো মুখের কথা নয়। ব্যবসায় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মূলধন। অনেকেই মূলধন জোগাড় করতে না পারায় ব্যবসা শুরু করলেও মাঝপথে তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। তবে এক্ষেত্রে সরকার এইসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলিও এমন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে।
সম্প্রতি, হিমাচল প্রদেশ সরকার ছোট উদ্যোগ এবং মুচি, দর্জি, নাপিত এবং সবজি বিক্রেতাদের মতো দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মীদের গ্যারান্টি-মুক্ত ঋণ প্রদান করেছে। ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করার ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারের সরকারি বিবৃতি অনুসারে, ‘মুখ্যমন্ত্রী লঘু দোকান কল্যাণ যোজনা- MMLDKY’-এর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উপকৃত হতে চলেছে। কারণ মূলধনের অভাবে ব্যবসার পাশাপাশি দক্ষ কর্মীরা নিজেদের উপার্জনটুকু করতে পারছে না। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদের ভীষণভাবে উপকৃত করবে।
জানা গেছে, এর প্রাথমিক পর্যায়ে, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৭৫ হাজার জন লোককে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের প্রতিরককে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিবৃতি অনুসারে, রাজ্য সরকার ছোট-বড় উদ্যোগগুলিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য গ্যারান্টি-মুক্ত ঋণ দেওয়ার জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তাদের ৫০ শতাংশ সুদে ভর্তুকি সহ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজ ঋণ প্রদান করা হবে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই বিষয়ে বলেছেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করা এবং রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। তিনি বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার এমন লোকদের অত্যাবশ্যক সহায়তা প্রদান করতে চায় যারা প্রায়শই আর্থিক সংস্থান অ্যাক্সেসে বাধার সম্মুখীন হয়, যা রাজ্যের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সেই রাজ্যের ছোট উদ্যোগগুলি ছাড়াও, দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মীরা যেমন মুচি, দর্জি, নাপিত, গ্রামীণ এলাকায় কর্মরত মোবাইল মেরামতকারী বিক্রেতা, শাকসবজি এবং ফল বিক্রেতারা এবং অন্যরা যারা তাদের নিজস্ব ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা এমএমএলডিকেওয়াই প্রকল্পের আওতায় আসবেন।