পুরোটাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে, নন্দিনীর ভাতের হোটেলে কোন থালির দাম কত?
নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায় (Nandini Ganguly) বর্তমানে ভাতের হোটেল চালানোর পাশাপাশি ইউটিউব ভ্লগ করেন। ভ্লগে নিজের হোটেলের খাবার তো বটেই, অন্য দোকানের স্ট্রিট ফুড খেতেও দেখা যায় তাঁকে। করোনাকালে চাকরি ছেড়ে মা-বাবার কাছে ফিরে এসেছিলেন নন্দিনী। সেই সময় তাঁর বাবার ব্যবসাতেও লোকসান হয়। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে নন্দিনীর বাবা অফিস পাড়ায় তৈরি করেন ভাতের হোটেল। প্রথমদিকে বিশেষ বিক্রিবাটা হত না। তবে একসময় নন্দিনী এসে ভাতের হোটেলের হাল ধরেন। ধীরে ধীরে বাড়ে বিক্রি। ঘটনাচক্রে একজন বাংলাদেশি ইউটিউবার নন্দিনীর ভাতের হোটেলকে প্রথমবার তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হয়ে যান ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী। বর্তমানে তাঁর ভাতের হোটেলে বিক্রি মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার ফলে রাখতে হয়েছে কর্মচারী।
View this post on Instagram
পাশাপাশি বেড়ে গিয়েছে খাবারের পদ। কখনও সখনও তালিকায় থাকে বাঙালির প্রিয় খাবার বাসন্তী পোলাও ও চিকেন কারি। এই থালিটির দাম মাত্র দেড়শো টাকা। তবে প্রতিদিনের ভেজ থালিতে থাকে নিরামিষ তরকারি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটি হয় মরশুমি সবজির তরকারি। শীতকালে পাওয়া যায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির তরকারি। মাছের ক্ষেত্রেও মাঝে মধ্যেই বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন নন্দিনী। পাওয়া যায় বাটা মাছ অথবা ইলিশ মাছ। মাছ বিশেষে দামের রকমফের হয়। তবে নন্দিনীর ভাতের হোটেলের সবচেয়ে দামি থালি হল মাটন থালি। এই থালিতে থাকে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, একটি ভাজা, একরকম তরকারি, খাসির মাংস।
চিকেন থালির দাম একশো টাকা। এই থালিতেও ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, একরকম ভাজা ও একটি তরকারি থাকে। সাথে থাকে চিকেন কারি। দুই রকমের ফিশ থালি পাওয়া যায় নন্দিনীর ভাতের হোটেলে। এর মধ্যে একটি হল চারাপোনা থালি। অনেকেই পছন্দ করেন ছোট, তাজা মাছ খেতে। তাঁদের কথা ভেবে এই থালিটি তৈরি করা হয়েছে। চারাপোনা থালিতে থাকে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, একরকম ভাজা, একটি তরকারি ও চারাপোনা মাছের ঝোল। এই থালিটির দাম সত্তর টাকা। এছাড়াও রয়েছে কাতলা থালি। এতে থাকে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, একরকম ভাজা, একটি তরকারি ও কাতলা মাছের ঝোল। রয়েছে ভেজ থালিও যার দাম পঞ্চাশ টাকা। ভেজ থালিতে থাকে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ, দুই রকমের ভাজা, এক ধরনের তরকারি। এছাড়াও রয়েছে ত্রিশ টাকা দামের ভেজ থালি যাতে থাকে ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ ও এক ধরনের তরকারি।
View this post on Instagram
অনেকেই বলেন, নন্দিনীর দোকানে সবসময়ই চলে নাটক। অনেকের তা মনে হয় পাবলিসিটি স্টান্ট। প্রকৃতপক্ষে, দোকানের কাছ নিয়েই কখনও সখনও ঝামেলা বাধে তাঁদের মধ্যে। এই ঘটনা প্রতিটি পরিবারেই ঘটে। দোকান ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে নন্দিনী ও তাঁর মা-বাবার পক্ষে ঝগড়ার সমাধান করা সম্ভব নয়। সব কর্মক্ষেত্রেই রয়েছে প্রতিযোগিতা। ফলে নন্দিনীর ভাতের হোটেলকে নিচু করার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাঁদের হোটেলে চেনা লোকদের পাঠান অর্থের বিনিময়ে। তাঁরা নন্দিনীকে বিরক্ত করেন। যেহেতু এই হোটেলটিকে প্রায় সবসময়ই ইউটিউবাররা ঘিরে থাকেন, ফলে এই ধরনের সব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দৃশ্যগুলির কারণে অনেকের মত, নন্দিনী নাটক করেন। আসলে যাঁরা এই কথা বলছেন, তাঁরাও নাটক দেখতে ভালোবাসেন।
View this post on Instagram