Pension Update: দারুন সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মচারীরা, ফিরতে চলেছে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা
চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি ক্ষেত্রে। তাই চালু হয় পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে।
আর এবার ছত্তিশগড়ের রাজ্য সরকারের একটি বিশেষ দফতরের পেনশনভোগীদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। বর্তমানে বহু রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। অনেক রাজ্যে ওল্ড পেনশন স্কিম (OPS) চালু করা হয়েছে। একই সময়ে, এটি বাস্তবায়ন নিয়ে অনেক রাজ্যে বিতর্ক চলছে। বর্তমানে, ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার পুরাতন পেনশন প্রকল্পের বিকল্পের দিকে লক্ষ্য রাখছে, যা লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগী মানুষকে উপকৃত করতে চলেছে। রাজ্য সরকারের তরফে অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমানে কর্মরত কর্মীদের অবসর জীবনের পর পুরনো পেনশন স্কিমের সমান সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে।
শুক্রবার এই বিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে সেই রাজ্যের একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, এই বৈঠকেই পেনশনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির পর যেসব কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন ছত্তিশগড় রাজ্য পাওয়ার কোম্পানিগুলিতে, তাদের মধ্যে আধিকারিক ও কর্মচারীদের জন্য পুরানো পেনশন প্রকল্প চালু করা হবে। অর্থাৎ পুরানো টেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরাট সুবিধা পেতে চলেছেন এইসব কর্মীরা। তাই উৎসবের মরশুমে সেই রাজ্যের মানুষরা দারুন সুবিধা পাবেন।
তবে এখানে মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে যে পুরানো পেনশন ব্যবস্থার জন্য এতটা আন্দোলন কেন? নতুন পেনশন ব্যবস্থাতেই কেন এত আপত্তি সরকারি কর্মচারীদের? এই বিষয়টিকে জানতে হলে জানতে হবে দুটি পেনশন সম্পর্কে। উল্লেখ্য, নতুন পেনশন ব্যবস্থায় সেই কর্মীর কত টাকা জমানো হয়েছে, সে কত বছর আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, বা তার বিনিয়োগের অবস্থা কি, এসব খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পেনশনের টাকার পরিমাণ যার উপরেই নির্ভর করে। তবে পুরনো ব্যবস্থায় সেই কর্মীর অবসরের আগে শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়।