Beauty Tips: যেতে হবে না পার্লারে, খসবেনা টাকা, ত্বক, চুলের জন্য ব্যবহার করুন কফি পাউডার
মাত্র ১৫ দিন এই চুল ওঠা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে, চুলকে যদি সুন্দর, ঝলমলে করতে চান এবং যদি চান যে আপনার চুল অনেক সুস্থ থাকুক তাহলে তিনটি হেনার প্যাক কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন। এই তিনটি হেনার প্যাক এর মধ্যে যার যেটা সুবিধা হবে, তারা সেই ভাবেই ব্যবহার করবেন এর জন্য প্রথমেই আপনাকে বাজার চলতি কোন ব্র্যান্ডেড কোম্পানির হেনা পাউডার কিনে নিতে হবে। এরপর সেই তিনটি যদি হেয়ার প্যাক বানাতে চান, তাহলে তাতে তিনটি হেয়ার প্যাকে অনেক রকমের উপাদান থাকবে, যার যেটা সহ্য হবে সেটাই ব্যবহার করবেন।
এই তিনটি হেয়ার প্যাকেই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে কফি পাউডার। কফি পাউডার চুলের জন্য ভীষণ ভালো, যারা বাড়িতে থেকে চুলকে অনেক সুন্দর করে রং করতে চাইছেন, তারা কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কফি পাউডার। এছাড়া কফি আমাদের চুলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে, মাথার স্কাল্প স্ক্রাবিং করতে সাহায্য করে।
হেনা পাউডারকে আগের দিন রাত্রিবেলা কোন লোহার জায়গায় জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন। তারপরে প্রথম পদ্ধতিতে এর মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। টক দই খুব ভালো করে হেনা পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিতে পারেন তিন থেকে চার টেবিল চামচ মধু। মিশিয়ে নিন কফি পাউডার। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে অন্তত দু’ঘণ্টা রেখে তারপরে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
পরের পদ্ধতিতে হেনা পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ডিম। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে পারেন, আর মেশাতে পারেন এর মধ্যে কয়েকফোঁটা নারকেল তেল, কফি পাউডার। প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে পরিষ্কার মাথায় চুলে লাগিয়ে অন্তত দু’ঘণ্টা রেখে তারপরে ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
তিন নম্বর পদ্ধতিতে হেনা পাউডারের সঙ্গে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে পাতি লেবুর রস, কফি পাউডার। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন টক দই, এই তিনটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে পারেন, যারা চুলে একটুখানি কালার চাইছেন তারা এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কফি পাউডার।
উপরে বলা তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি বা সপ্তাহে দুদিন করে যে কোন একটি পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন চুল একেবারে সুন্দর পরিষ্কার, ঝলমলে হয়ে গেছে। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাটা অনেকটা চলে যাবে চলে খুশকির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে।
প্যাচপ্যাচে গরমে ফেসওয়াশ কিনতেই হবে, কারণ ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার না করলে মুখ কিন্তু ভীষণ খারাপ হয়ে যাবে লোমকূপের মধ্যে ময়লা জমে থেকে সে আরো বিপত্তি হবে। তবে আমরা বাজারে গিয়ে নানান রকমের ব্র্যান্ডেড কোম্পানির যতই ফেসওয়াশ কিনি না কেন, বাড়িতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান কিন্তু ত্বকে অনেক বেশি পরিষ্কার করে, ত্বকের কোন ক্ষতি না করেই।
বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিস দিয়েই আপনি কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যেতে পারেন। সামনে পুজো আসছে পুজোর সময় আপনি কিন্তু বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ ফেসওয়াশ। আর এই ফেসওয়াশ বানানোর জন্য আপনাকে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না, বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিস দিয়েই আপনি সহজে বানাতে পারেন অসাধারণ ফেসওয়াশ।
১)প্রথমেই হাতে তুলে নিতে হবে বেসন, পরিমাণ মতন বেসন নিয়ে নিন এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন, সমপরিমাণ চালের গুঁড়ো , তার সঙ্গে নিতে হবে সমপরিমাণ ওটস গুঁড়ো, তার সঙ্গে নিতে হবে, সমপরিমাণ কফি পাউডার, সম পরিমাণ আটা, সম পরিমাণ ময়দা, খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর যতটা পরিমাণ আটা, ময়দা বা বাকি উপাদান নিয়েছেন তার থেকে অর্ধেক পরিমাণ কমলালেবুর খোসাগুলোকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটি উপকরণকে ভালো করে মিশিয়ে একটি কাঁচের কন্টেনারে বাথরুমেই রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন স্নান করার আগে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতন কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখ, পিঠ, গলা এবং সারা শরীরে বডি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, আর অবশ্যই লাগানোর আগে এতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিতে একেবারেই ভুলবেন না। লেবুর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড উপাদান আপনার ত্বকের উপরে হওয়া কালো দাগকে একেবারে সহজেই দূর করে দেবে, তাই আর দেরি না করে চটপটবাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ এই ক্লিনজার এটি একবার বানিয়ে রাখলে অন্তত একমাস ঠিক ভাবে চলে যাবে।
২) বেবি বডি ওয়াশ নিয়ে নিতে পারেন, এই বেবি বডি ওয়াশের সঙ্গে আপনি যদি এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল আর এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন আর এটি যদি প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে লাগিয়ে তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেন, দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার এবং ছকছকে হয়ে গেছে।
৩) আটা, ময়দাকে সমানভাবে মিশিয়ে একটি জায়গার মধ্যে রেখে দিন। তারপরে ধোয়ার সময় এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতন কাঁচা দুধ, আটা এবং ময়দার মধ্যে থাকা উপাদান আমাদের শরীরের অনেক ভেতরের ময়লাকে খুব সহজে দূর করতে সাহায্য করে। প্রত্যেকেই জানি, আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী হল কাঁচা দুধ। কাঁচা দুধ শুধু ত্বক পরিষ্কার করে না ত্বকের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখতে সাহায্য করে, তাই আর দেরি না করে চটপট বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ এই ফেসওয়াশ।
৪) সামনে যদি কিছুই না থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। নারকেল তেল পরিমাণ মতো করে নিয়ে তুলোর মধ্যে করে যদি মুখে, পিঠে, গলায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলেই দেখবেন কত ময়লা সহজেই উঠে আসে।