Hoop PlusTollywood

মায়ের ভোগে নিরামিষ মাংস, গঙ্গা-পদ্মার ইলিশ, বাড়ির পুজোর বিশেষ রেসিপি শেয়ার করলেন সুদীপা

আর এক সপ্তাহও বাকি নেই দুর্গাপুজোর। সারা শহর সেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতেও সাজো সাজো রব। বিরাট ধুমধামের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয় অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) বিলাসবহুল বাড়িতে। গোটা টলিউডের তারকাদের ঢল নামে তাঁদের বাড়িতে। বহু বছর ধরে দুর্গাপুজোর চল রয়েছে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। আসলে তাঁদের আদি বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার বিক্রমপুরে। ১৬০ বছরের পুরনো পুজোকে কলকাতায় নখ নিয়ে আইন অগ্নিদেব সুদীপা। এখানে বিগত ৯ বছর ধরে পুজো চলে আসছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের বাড়ির প্রতিমা এবং ভোগের বৈশিষ্ট নিয়ে মুখ খুললেন সুদীপা। তিনি জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে দেবী মায়ের গয়নার বাক্স খুলে দেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাহায্যের জন্য। তাই এখন প্রতি বছরই দেবী দুর্গার জন্য কোনো না কোনও গয়ষা বানিয়ে তোলেন। রূপোর অস্ত্র হতে নিয়ে থাকেন দুর্গা মা। তিনি আরো জানান, দেবী দুর্গার ডান হাতে ত্রিশূল থাকলেও বাঁ হাতে থাকে পদ্মফুল। মা শান্তির বার্তাও দেন।

আবার চট্টোপাধ্যায় বাড়ির ভোগেও রয়েছে ভিন্নতা। সুদীপা জানান, তাঁদের বাড়ির পুজোয় ভোগের স্পেশ্যালিটি হল অন্নভোগ এবং নিরামিষ মাংস। এই নিরামিষ মাংসের রেসিপিও ভাগ করে নিয়েছেন সুদীপা। খাসির নয়, পাঁঠার মাংস ব্যবহার করা হয়। নুন, হলুদ, সর্ষের তেল আর দই দিয়ে মাখিয়ে ঘন্টা খানেক রাখা হয় মাংসটা। তারপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে দেওয়া হয় গোটা জিরে, গোটা গরম মশলা, আদা বাটা, জিরে বাটা, শুকনো লঙ্কা বাটা এবং কাঁচা হলুদ বাটা। ভালো করে কষিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মাংস। এর মধ্যে দেওয়া হয় ঘি এবং গোলমরিচ বাটা। আরো খানিকটা কষিয়ে গরম জল ঢেলে মাংস সেদ্ধ করে নামানোর সময়ে গোবিন্দভোগ চাল বাটা এবং ঘি দেওয়া হয়। সুদীপা জানান, পেঁয়াজ রসুন ছাড়া মাংসের গন্ধ ঢাকতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও হয় কাজরী মাছের চচ্চড়ি। প্রথমে কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তার মধ্যে দেওয়া হয় ধনেপাতা বাটা, রসুন বাটা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা। তারপর নুন, চিনি দিয়ে মশলা কষিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় কাঁচা মাছ। এপিঠ ওপিঠ করে ভাল করে রান্না করে নিয়ে একটু গরম জলের ছিটে দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। নামানোর সময় দেওয়া হয় চেরা কাঁচালঙ্কা এবং সর্ষের তেল। অষ্টমীতে সন্ধি পুজোর পর থেকেই দেবী মাকে ভোগে মাংস, মাছ দেওয়া হয় বলে জানান সুদীপা। এছারাও দেওয়া হয় গঙ্গা এবং পদ্মার ইলিশ মাছ। নবমীতে ভোগে থাকে পদ্মার ইলিশ আর দশমীতে মায়ের ভোগে থাকে গঙ্গার ইলিশ। এছাড়াও ভোগে তুলাইপাঞ্জি, গোবিন্দভোগ, চিনিগুঁড়ার মতো চালও থাকে ভোগে।

Related Articles