Festive Bonus: দীপাবলির আগেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা, উৎসবের মেজাজে দারুন খবর
চলছে উৎসবের মাস অক্টোবর। এই মাসে দেশজুড়ে নানা উৎসবে মেতে ওঠেন দেশবাসী। দেশের নানা প্রান্তের, নানা ধর্ম ও নানা সম্প্রদায়ের মানুষজন নানা উৎসব পালন করে এই সময়। এখন যেমন বাঙালির দুর্গাপুজো হয়ে থাকে, তেমনই আসামি হয়ে থাকে বিহু উৎসব, এদিকে উত্তর ভারতে নবরাত্রি পালন হয়, অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে পালিত হয় দশেরা। এছাড়াও গোটা দেশজুড়ে এই সময় আলোর উৎসব দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে। তাই এই মাসে সকলেরই পকেট থেকে বেশি টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই এই সময় বিভিন্ন সরকারি দফতর ও বেসরকারি সংস্থা থেকে বেতন কর্মচারীরা।
কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ ভারতীয় রেলের কর্মীরাও এই সময় বোনাস পেয়ে থাকেন। তবে বছরে একবারই এই বোনাস পেয়ে থাকেন। হিন্দুদের ক্ষেত্রে দুর্গাপূজার আগে এই বোনাস দেওয়া হয়। অর্থাৎ উৎসবের মাস অক্টোবরে এই বোনাস দেওয়া হয় রেলের কর্মীদের। তবে সাধারণভাবে গোটা দেশে দীপাবলির আগেই এই বোনাসের টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। ৭৮ দিনের কাজের বেতন তাদের দেওয়া হয় বোনাস হিসেবে। অর্থাৎ বেতনের থেকে অনেকটা বাড়তি টাকা ঢোকে এইমাসের বেতনের সঙ্গে। তবে এবার সেই বোনাস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল রেলকর্মীদের এক সংগঠন।
সম্প্রতি, উৎসবের মরশুম শুরুর মুখেই ‘প্রোডাক্টিভিটি-লিঙ্কড বোনাস’ বাড়ানোর দাবি তুললেন ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর সদস্যরা। তাদের দাবি এটাই যে বর্তমানে সরকার রেল কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মাধ্যমে বোনাস দিয়ে থাকে। সেই কারণে রেলকর্মীদের বোনাসের নূন্যতম সীমাটাও অনেকটাই কম। তাই এবার নূন্যতম বেতন বাড়িয়ে নূন্যতম বোনাসের পরিমান বাড়ানোর দাবি তুলল রেলকর্মীদের এই সংগঠন।
প্রসঙ্গত, বেতনের নিরিখে দেখলে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে যেসব ভারতীয় রেলের কর্মী বেতন পেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে গ্রুপ ‘ডি’ কর্মচারীদের বেসিক পে ৬,০০০ টাকা। আর এবার সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় থাকা কর্মীদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮,০০০ টাকা। যদিও এই বিষয়ে আন্দোলনরত রেলকর্মীদের এই ফেডারেশনের দাবি, রেলের গ্রুপ ‘সি’ এবং ‘ডি’-র কর্মীরা যেখানে মাত্র ১৭,৯৫১ টাকা বোনাস পান, সেখানে তাদের আরো বেশি টাকা পাওয়া উচিত।