LIC Policy Surrender: মাঝপথে এলআইসি’র পলিসি বন্ধ করলে কত টাকা মিলবে, জেনে নিন আসল নিয়ম
নিজের রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে সেসব ঝুঁকি ছাড়াই টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়ে অনেকের প্রথম পছন্দ হল LIC। অনেকেই এই বীমা সংস্থাকে একমাত্র ভরসযোগ্য সংস্থা বলে মনে করেন।
LIC হল একটি জাতীয় বীমা সংস্থা। তাই ভারতীয় জীবনবিমা নিগম লিমিটেডের রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু প্ল্যান, যার মাধ্যমে পাওয়া যায় ভালোরকম রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ। তবে অনেকেরই রয়েছেন যারা এলআইসি’র কোনো পলিসি নিয়ে সঠিক সময় অবধি চালাতে পারেন না। নানা ব্যক্তিগত কারণে মাঝপথে পলিসি বফঁহর করে দিতে বাধ্য হন অনেকেই। তবে পলিসি বন্ধ করলে টাকার অঙ্কে অনেকটাই ঘাটতি থেকে যায়। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পলিসি সারেন্ডার করলে কিছু টাকা পাওয়া যায় রিটার্ন হিসেবে। এখন একনজরে দেখে নিন যে কিভাবে এবং কোন শর্তে পলিসি সারেন্ডার করা যায়।
নানা রকম পলিসি সারেন্ডার করার নানা সময়সীমা রয়েছে। যেমন সিঙ্গল প্রিমিয়াম পলিসি সারেন্ডার করা যায় দ্বিতীয় বছরে। আবার টার্ম প্রিমিয়াম পলিসির ক্ষেত্রে ১০ বছর বা তার কম মেয়াদের পলিসি ২ বছর অবধি সারেন্ডার করা যায় না। তবে পলিসিটির মেয়াদ ১০ বছরের বেশি হলে, তা সারেন্ডার করা যায়না তিন বছরের আগে। তবে এভাবে মাখপথে পলিসি সারেন্ডার করলে কিন্তু শুধুমাত্র সারেন্ডার মূল্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বোনাস, অ্যাড-অন করছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে না।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে কিভাবে সঠিক নিয়মে পলিসি সারেন্ডার করা যাবে। এই কাজটি এলআইসির ব্রাঞ্চে অফিসে গিয়ে করা যায়। তবে এটি অনলাইনে করতে হলে প্রথিমেই এলআইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ-ইন করতে হবে। সেখান ‘সারেন্ডার ডিসচার্জ ভাউচার’ অপশন সিলেক্ট করে এলআইসির ৫০৭৪ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে। এবার এর সঙ্গে দিতে হবে বেশ কিছু নথি। এই কাজটি করতে হলে দিতে হবে পলিসির আসল কাগজ, ৫০৭৪ নম্বর ফর্মের প্রিন্ট-আউট, রেজিস্টার্ড ব্যাঙ্কের একটি ক্যানসেল্ড চেক, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, LIC NEFT ম্যান্ডেট ফর্ম ও একটি হাতে লেখা আবেদন পত্র।