Hoop VideoHoop Viral

প্রাক্তন প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে শরীরের খেলা দেখালেন যুবক, গরমাগরম দৃশ্য দেখুন সাহসী এই শর্টফিল্মে

ইদানিং বহু ইউটিউব চ্যানেল একের পর এক শর্ট ফিল্ম আপলোড করছে। তালিকায় রয়েছে বাংলা ও হিন্দি ভাষার শর্ট ফিল্ম। ‘পার্পল টকিজ’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত 30 শে অগস্ট আপলোড হয়েছে বাংলা শর্ট ফিল্ম ‘প্রাক্তন’। এই শর্ট ফিল্মটির নাম উইন্ডোজ নির্মিত একটি ফিল্মের নামে হলেও কাহিনীর সাথে নেই কোনো মিল। এখনও অবধি ‘প্রাক্তন’-এর ভিউ অতিক্রম করেছে এক হাজারের কিছু বেশি।

চিরঞ্জিৎ ঘোষাল (Chiranjeet Ghoshal) পরিচালিত শর্ট ফিল্ম ‘প্রাক্তন’-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্কপ্রতিম সিনহা (Arkapratim Sinha) ও পৃথা গাঙ্গুলী (Pritha Ganguly)। শর্ট ফিল্মটির শুরুতেই দেখা যায়, ভাস্কর নামে এক যুবক একটি কর্পোরেট অফিসে ইন্টারভিউ দিতে আসে। কিন্তু ওই অফিসের মহিলা বস গার্গী তার ইন্টারভিউ নিতে চায় না। সে রিসেপশনে ফোন করে বলে, ভাস্করকে বাদ দিয়ে অন্য ক্যান্ডিডেটদের তার কেবিনে পাঠাতে। কিন্তু একসময় গার্গী ঠিক করে, সে ভাস্করকে কেবিনে ডাকবে। ভাস্কর তার কেবিনে ঢুকে গার্গীকে দেখে চমকে যায়। কারণ গার্গী তার প্রাক্তন প্রেমিকা। ভাস্কর কেবিন থেকে বেরিয়ে যেতে গেলে গার্গী তাকে বসার অনুরোধ করে।

ভাস্কর তার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে, সে জানত না, গার্গী এই অফিসে কাজ করে। গার্গী বলে, পাঁচ বছর পর তাদের দেখা হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ ভাস্কর ওই অফিসে এসেছে কন্টেন্ট রাইটারের চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। গার্গী ওই অ্যাড এজেন্সির ক্রিয়েটিভ হেড। ফলে সে ভাস্করের ইন্টারভিউ নেবে। একসময় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল ভাস্কর। সমাজ বদলানোর স্বপ্ন দেখত সে। কিন্তু বর্তমানে সব কিছু থেকে দূরে সরে এসেছে সে। পিতৃহারা ভাস্করের উপর এসে পড়েছে সংসারের দায়িত্ব। ফলে তাকে চাকরি খুঁজতে বেরোতে হয়েছে।

অপরদিকে গার্গীর একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু একসময় অফিসের মধ্যেই গার্গী ও ভাস্কর ঘনিষ্ঠ হয়ে একে অপরকে চুম্বন করে। কেবিনের মধ্যে তারা একে অপরের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ভাস্কর একসময় বলে, সে গার্গীর সংসার ভাঙতে পারবে না। কারণ আজও সে গার্গীকে ভালোবাসে। গার্গী রাগ করে কেবিনের বাইরে চলে যায়। সেই সময় তার ফোনে কল আসে গার্গীর ছেলে আদিত্যর। ফোন রিসিভ করে ভাস্কর। সে আদিত্যকে তার মা-বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে পিতৃপরিচয় হিসাবে ভাস্করের নাম বলে আদিত্য। পরে গার্গী ভাস্করকে জানায়, সে বিয়ের আগে দুই দিন আগে বুঝতে পারে, সে অন্তঃসত্ত্বা।

পরিবার গার্গীকে গর্ভপাতের পরামর্শ দিলে সে ভাস্করের বাড়িতে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে গার্গী দেখে, ভাস্করের বাড়ির দরজায় তালা। ফিরে চলে আসে গার্গী। সে এক বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে কলকাতা ছেড়ে চলে যায়। কলকাতার বাইরে আদিত্যর জন্ম হলেও দুই বছর আগে আবারও শহরে ফিরে আসে গার্গী। ইতিমধ্যেই তার মা-বাবা গার্গীর সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করেছে। গার্গী একাই আদিত্যকে বড় করে তুলেছে। ভাস্কর গার্গীর কাছে ক্ষমা চায়। গার্গীও তাকে আবার আপন করে নেয়।

Related Articles