নদীর নীচে হিরের খনি! বাংলার খুব কাছাকাছি খোঁজ পেল ভূবিজ্ঞানীরা
প্রাচীনকাল থেকেই মূল্যবান সব ধাতু এবং ধনরত্ন নিয়ে মানুষের আগ্রহ, কৌতূহল ও তাদের চাহিদা ব্যাপকভাবে রয়েছে। সেই জন্য ঐতিহাসিক সময়ে রাজা ও সম্রাটদের মুকুট থেকে শুরু করে পোশাক পরিচ্ছদ এমনকি থাকার অট্টালিকা ও প্রাসাদও তৈরি হতে এইসব মূল্যবান ধনরত্ন দিয়েই। এর মধ্যে যেমন ছিল চুনি, পান্না, প্রবাল, তেমনই ছিল হিরে। আর এখন যুগ আধুনিক হলেও এইসব মূল্যবান রত্নের চাহিদা কমেনি একটুও। আজকালকার দিনে দাঁড়িয়েও যে মানুষের কাছে যত বেশি এইসব রত্ন থাকবে, সে ততবেশি ধনী বলে বিবেচিত হয় থাকেন।
আর এবার এমন এক অবাক করার মতো খবর সামনে এল, যা শুনলে আয়নার হুঁশ উড়বে। কারণ এবার খনিতে নয়, নদীর নীচে মিলতে পারে কাঁড়ি কাঁড়ি হিরের সন্ধান। এমনটা হয়তো আপনি গল্পে পড়ে থাকবেন কিংবা সিনেমায় দেখে থাকবেন, তবে বাস্তব জীবনে এমনটা যে হতে পারে, তা হয়তো কল্পনাতেও ভাবতে পারেন না কেউ। কিন্তু এবার এমনই এক অবাক করার মতো খবর সামনে এল। এবার ভারতেরই একটি নদীর নীচে হিরের ভান্ডার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই খবরে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এমনটা হলে হয়তো চিরতরে বদলে যাবে দেশের ভবিষ্যৎ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডের একাধিক নদীতে হিরে খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে, ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু নদীর সন্ধান দেওয়া হয়েছে, যার নীচে হিরে ঠালতে পারে বলে লেখা রয়েছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু ঐতিহাসিক নথিও সামনে এসেছে বলে জানা গেছে। আর এই ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতেই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নদীগুলিতে হিরে খোঁজার কাজ করা হবে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের খনি মন্ত্রক এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
কিন্তু কোথায় রয়েছে এমন সব নদী? সূত্রের খবর, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এবং পালামু জেলার বেশ কয়েকটি নদীর তীরে এই হিরে খোঁজার কাজ শুরু করা হবে। এই বিশেষ প্রকল্প ২০১৯ সালে সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা শুরু করা হয়েছিল। এর জন্য ঝাড়খণ্ডের এইসব নদীর মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্য মুঘল শাসক জাহাঙ্গীরনামা থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত কয়েক ডজন বিশ্বখ্যাত লেখকের বইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ফরাসি ট্রাভেলার ও লেখক জেভি ট্রাভানিয়ারের ভারত বিষয়ক ভ্রমণ বইয়ে ছোটনাগপুরের কাছে অবস্থিত এমন নদীর কাছে অনুসন্ধান করা হবে।