whatsapp channel

Lifestyle: কাছে ঘেঁষবে না সর্দি, রক্তচাপও থাকবে বশে, মুলোর এত উপকার জানলে খাবেন নিয়মিত

শীতকাল মানেই সবজির মরসুম। প্রচুর শাক সবজি ওঠে শীতের বাজারে। এর মধ্যে অন্যতম মুলো (Radish)। কিন্তু মুলোর নাম শুনলেই মুখ ব্যাজার হয়ে যায় অনেকের। কেউ কেউ মুলো পছন্দ করলেও অনেকেই…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

শীতকাল মানেই সবজির মরসুম। প্রচুর শাক সবজি ওঠে শীতের বাজারে। এর মধ্যে অন্যতম মুলো (Radish)। কিন্তু মুলোর নাম শুনলেই মুখ ব্যাজার হয়ে যায় অনেকের। কেউ কেউ মুলো পছন্দ করলেও অনেকেই এই সবজিটি এড়িয়ে চলেন গন্ধ এবং গ্যাসের সমস্যার ভয়ে। তবে আরো অনেক সবজির মতো মুলোর মধ্যেও রয়েছে এমন কিছু অসাধারণ পুষ্টিগুণ যেগুলি সম্পর্কে জানলে এই সবজিকেই অন্য চোখে দেখতে শুরু করবেন।

শীতের সবথেকে জনপ্রিয় সবজি গুলির মধ্যে গাজর, কড়াইশুঁটি, বিট, ক্যাপসিকামের পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে মুলোও। কিন্তু অন্যান্য সবজি গুলির তুলনায় গ্রহণযোগ্যতা একটু কম এই সবজির। তবে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে মুলোর মধ্যে। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। শীতকালে নিয়মিত মুলো খেলে তা শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষ করে সাদা মুলোর মধ্যে পুষ্টিগুণ বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মুলোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা শীতকালে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা, সর্দি জ্বর থেকে রেহাই দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষ দের জন্যও মুলো খুব উপকারী সবজি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে মুলো।

সাদা মুলো যে কোনো পদ্ধতিতে খেলেই তা শরীরের পক্ষে উপকারী বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। কেউ মুলোর বিভিন্ন তরি তরকারি খাওয়া পছন্দ করেন, কেউ বা ঘন্ট। অনেকে স্যালাডে কাঁচা মুলো খেয়ে থাকেন। আবার শীতকালে মুলোর পুর ভরে পরোটা খাওয়ারও চল রয়েছে। মোদ্দা কথা, যে ভাবেই হোক না কেন, শীতকালে রোজকার ডায়েটে মুলো রাখলে তা শরীরে উপকার সাধন করবে। তবে শরীরে যদি বেশি ব্যথা থাকে তাহলে মুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। এমনকি যারা কায়িক পরিশ্রম করেন না তাদেরও মুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে শরীরে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই