whatsapp channel
Hoop PlusReality show

Albert Kaboo: মেয়ের মৃত্যুশোক বুকে চেপেই সারেগামাপা জয়ী কাবো, কৃতিত্ব দিলেন স্ত্রীকে

অনেক দিন পর আবারো আনন্দের ঢেউ অ্যালবার্ট কাবোর (Albert Kaboo) পরিবারে। দীর্ঘ লড়াই শেষে হিন্দি সারেগামাপা-র (SaReGaMaPa) বিজয়ীর খেতাব জিতে নিলেন তিনি। বাংলা রিয়েলিটি শো টিতে একটুর জন্য বিজয়ীর তকমা হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। কিন্তু জাতীয় মঞ্চে তাঁর ধারেকাছেও আসতে পারল না কেউ। হাড্ডাহাড্ডি টক্কর শেষে ট্রোফি উঠল কাবোর হাতে। তবে শো শেষে নিজের জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব তিনি দিয়ে দিলেন স্ত্রী পূজা ছেত্রীকে।

কয়েক মাস আগেই বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে কাবো এবং তাঁর স্ত্রীর জীবনে। মাত্র আট মাস বয়সের পুঁচকে মেয়েকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন দুজনে। একমাত্র মেয়েকে চিরতরে হারিয়ে ফেলার শোক বুকে চেপে ধরে একে অপরকে অবলম্বন করেই নতুন সফর শুরু করেছিলেন তাঁরা। বাংলা সারেগামাপা-র পরপরই জাতীয় মঞ্চে ভাগ্যপরীক্ষায় নামেন কাবো। প্রথম থেকেই তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বর বিচারক এবং দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। অবশেষে আট মাস পর নিজের পরিশ্রমের ফল পেলেন কাবো।

বিজয়ীর খেতাব পাওয়ার পর এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কাবো বলেন, নিজের স্ত্রী এবং কন্যা এভিলিনের জন্য এই মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল এটা। এবার পূরণ হয়েছে। যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলেন তিনি সেটা পূরণ হয়েছে। যে যে দর্শক তাঁকে দেখে ভালোবেসেছেন, ভোট দিয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ জানান কাবো। এরপরেই তিনি বলেন, স্ত্রী পূজা তাঁর পাশে সবসময় থেকেছেন। সব কাজ স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেই করেন তিনি। তাঁর স্ত্রীও এতটাই খুশি।

প্রথাগত ভাবে সঙ্গীতশিক্ষা হয়নি কখনো কাবোর। কালিম্পংয়ে টুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তার ফাঁকেই চলত গান। এমনকি হিন্দি উচ্চারণও তাঁর খুব একটা স্পষ্ট ছিল না। কাবো বলেন, প্রথম বার মুম্বইতে অডিশন দিতে এসে বেশ সমস্যাই হয়েছিল। কিন্তু বিচারকেরা তাঁকে সাহায্য করেছেন। বিজয়ী হয়ে দশ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার জিতেছেন কাবো। তিনি ছাড়াও ফিনালেতে উঠেছিলেন বাংলার রণিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্নেহা ভট্টাচার্য, সোনিয়া গজমের, নিষ্ঠা শর্মারা। এঁদের মধ্যে স্নেহা এবং সোনিয়া আগে বাংলা সারেগামাপাতেও অংশ নিয়েছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Zee TV (@zeetv)

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই