whatsapp channel
Hoop Life

Lifestyle: সূর্যাস্তের পরে ভুলেও করবেন না এই কাজ, বন্ধ হয়ে যাবে উন্নতির সমস্ত পথ

দিনের কিছু কিছু বিশেষ সময় রয়েছে যেগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু বিশ্বাস। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মে (Hindu Religion) বহু যুগ ধরে কিছু প্রচলিত নিয়ম চলে আসছে যেগুলি আজও মেনে চলা হয়। মনে করা হয়, এই নিয়ম গুলি পালন করলে জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়। যেমন হিন্দু ধর্মে সূর্যোদয়ের সঙ্গে যুক্ত কিছু বিশ্বাস রয়েছে। পুজো অর্চনা, ঈশ্বরের নাম নিয়ে দিন শুরু করলে বা গুরুজনদের প্রণাম করে দিন শুরু করলে দিন ভালো যায় বলে মনে করা হয়। বহু যুগ ধরে চলে আসছে এই প্রচলিত নিয়ম।

তেমনি সূর্যাস্তের (Sunset) সঙ্গেও জড়িত রয়েছে কিছু বিশ্বাস। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন দিন শুরু হয়, তেমনি সূর্যাস্ত দিন শেষ হয়ে রাত্রি শুরুর বার্তা নিয়ে আসে। এই সময়ে কিছু কাজ যেমন পরিবারে ইতিবাচক শক্তি ডেকে নিয়ে আসে, তেমনি কিছু কিছু কাজ করলে তা সংসারের পক্ষে অমঙ্গল বলে মানা হয়। হিন্দু শাস্ত্র এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিছু কিছু নিয়ম বা কাজের কথা বলা রয়েছে যেগুলি করলে সংসারে শুভ শক্তি বজায় থাকে।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, সন্ধ্যা মা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। তাই এই সময়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হলে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে পরিবারের উপরে কৃপাদৃষ্টি দেন। সূর্যাস্তের পরে তুলসী মঞ্চে, বাড়ির মূল ফটকে, ঈশ্বরের পুজোর জায়গায় প্রদীপ বা ধূপ জ্বালানো উচিত। এতে নেতিবাচক প্রভাব দূরে থাকে বাড়ি থেকে। সন্ধ্যার সময়ে স্বর্গত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাঁদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই সময়ে ঘরে ঝাড়ু দেওয়া বা ঝুল ঝাড়া উচিত নয়।

জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা সন্ধ্যাবেলায় মৌনব্রত ধারণ করার পরামর্শ দেন। সাধু সন্ন্যাসীদের মুখেও এর উপকারিতার কথা শোনা যায়। এতে সংসার তথা স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সন্ধ্যাকালে যে বাড়িতে ঝগড়া, অশান্তি হয় সেখানে মা লক্ষ্মীর ছায়া সরে যায় বলে মনে করা হয়। সন্ধ্যাবেলায় শুয়ে না থাকার কথাও বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ধ্যাবেলায় শুয়ে থাকলে তার জীবনে উন্নতির পথ বন্ধ হয়ে যায়।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই