Bank Debit: আচমকা টাকা কেটে নিচ্ছে ব্যাঙ্ক? জানেন কোথায় জমা পড়ছে এই টাকা!
বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কমবেশি সকলের কাছেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরি একটি বিষয় সকলের কাছেই।বলা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন সকলেরই পড়ে। সে রোজগারের টাকা সুরক্ষিতভাবে রাখা হোক বা অনলাইনে টাকা লেনদেন কিংবা দূরের কাউকে টাকা ট্রান্সফার করা- এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রাখা ভীষণ জরুরি। বলা যায়, এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়া কারো চলে না। কারো থাকে একটি অ্যাকাউন্ট, কারো আবার একাধিক।
তবে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার একাধিক খবর সামনে আসছে। সামাজিক মাধ্যমে ও একেই এই ধরণের অভিযোগ করেছেন প্রায়ই। বিশেষ করে বিগত কয়েকদিনে এই সমস্যাটি দেশের হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে ঘটছে। মূলত, সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই এই টাকা কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। আর কেন্দ্রের দুই প্রকল্পের নামে এই টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, স্টেট ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন যে স্টেট ব্যাঙ্ক তার অনুমতি ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। আবার কেউ অভিযোগ করছেন যে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার নাম করে টাকা কাটছে তার অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু কি এই দুই প্রকল্প? আসুন জেনে নিই।
● প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা: এটি হল কেন্দ্রের একটি জীবনবিমা স্কিম। এই স্কিমে বার্ষিক টাকা জমা দিতে হয় গ্রাহককে। তার পরিবর্তে তাকে ডেথ কভার দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়স্ক যে কোনো ভারতীয় নাগরিক এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই প্রকল্পের ৪৩৬ টাকার বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা করতে হয়। এই স্কিম থেকে ২ লক্ষ টাকার ডেথ বেনিফিট দেওয়া হয়।
● প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা: এটিও কেন্দ্র সরকারের একটি জীবনবিমা স্কিম। এই স্কিমে প্রিমিয়ামের অঙ্কটা অনেকটাই কম। এই স্কিমে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হলে বা শারীরিকভাবে অক্ষম হলে কভার পাওয়া যায়। ১৮ বছর বয়স থেকে ৭০ বছর যেকোনো ভারতীয় নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলে এই বিনিয়োগ করতে পারবেন। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস থেকে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। বার্ষিক ২০ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিয়ে ২ লক্ষ টাকা অবধি কভার পাওয়া যায় এই স্কিমে।