জন্মসূত্রে কানাডীয় আর পৈতৃক সূত্রে মরক্কান তিনি। এই মরক্কান বংশোদ্ভূত নোরা বলিউডে কাজ করছেন গত ছ’বছর ধরে। এখন তিনি সেরা আইটেম ড্যান্সার হিসেবে প্রাধান্য পান বলিউডে। মূলত ‘দিলবার’ গানে বিশেষ উপস্থিতি রেখে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলেছিলেন তিনি। এছাড়াও ‘স্ত্রী’ মুভিতে কামারিয়া গানে তাঁর বিশেষ উপস্থিতি আরও একবার নজর কাড়ে দর্শকদের। সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং'(তেলেগু/তামিল) মুভিতে নোরা ফাতেহিকে ‘মনোহরী’ গানের দৃশ্যে পারফর্ম করতে দেখা যায়। এরও আগে ‘রোয়ার: টাইগার্স অব দ্য সুন্দরবনস’ এ রুবারু গানে পারফর্ম করেন, কিন্তু তা বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি। বর্তমানে নোরার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
View this post on Instagram
সম্প্রতি নোরা করিনা কাপুরের একটি চ্যাট শোতে হাজির হয়েছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর বলিউডের তিক্ত জার্নি নিয়ে দু’চার কথা শেয়ার করেন। নোরার কথায় তিনি যখন প্রথম ভারতে আসেন, সেই সময় মুম্বইয়ের এক নামি কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁকে ডেকে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। নোরাকে সেখানে ডেকে চিৎকার শুরু করেন ওই মহিলা এবং তাঁকে ট্যালেন্টলেস বলে তাড়িয়ে দেন। নাহ নাম উল্লেখ করেননি নোরা তাঁর, তবে তাঁর জার্নি যে একেবারেই স্মুথ ছিল না তা করিনার চ্যাট শোতে এসে স্পষ্ট করেই বলেন। এমনকি সেদিন ওই মহিলা কাস্টিং ডিরেক্টর এও বলেন নোরার উদ্দেশ্যে যে নোরার মতো অভিনেত্রীকে ইন্ডাস্ট্রির কোনও প্রয়োজনও নেই, না আছে রূপ না ট্যালেন্ট। এরপরেই তিনি কাঁদতে কাঁদতে ওই কাস্টিং ডিরেক্টরের বাড়ি চেড়ে চলে যান বলেও জানান নোরা।
আজকের নোরা একজন সফল আইটেম ড্যান্সার হলেও কিছু বছর আগেও তাঁর কোন পরিচয় ছিল না বলিউডে কাজ করা স্বত্বেও। দুই বছর নোরা কেবল বিজ্ঞাপন করেছেন, কিন্তু কোনো টাকা পাননি। সিনেমায় একটা চরিত্র পেতে সময় লেগে গেছে দুই বছর। এরপর অনেক পরিশ্রমের পর আইটেম ড্যান্সার হয়ে ওঠেন তিনি। এখন তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে এবং দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে প্রায় সময় নাচ উপস্থাপন করেন তিনি।
View this post on Instagram