Vacation: ভুলে যাবেন দীঘা-মন্দারমণি, ভিড় থেকে গা বাঁচিয়ে ঘুরে আসুন এই নিরালা সি বিচ থেকে
শীত পড়ে গিয়েছে বাংলায়। এই সময়টা দলবেঁধে পিকনিক বা উইকেন্ড ট্রিপের জন্য একেবারে আদর্শ। বছরের শেষে ছুটির মুডে থাকে কমবেশি সকলেই। কেউ ঠাণ্ডার আমেজ আর একটু উপভোগ করতে পাড়ি দেন পাহাড়ে। আবার কেউ কেউ পৌঁছে যান সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্রের নোনা হাওয়া আর মিঠে রোদ গায়ে মেখে একান্তে কাটিয়ে আসেন বছরের শেষ কয়েকটা দিন। কিন্তু এই সময় তো দীঘা, মন্দারমণিতে উপচে পড়া ভিড়। তাই লোকের ভিড়ভাট্টা থেকে দূরে নিরালায় ছুটি উপভোগ করার জন্য ঘুরে আসতে পারেন যমুনাসুল সি বিচ (Jamunasul Sea Beach) থেকে।
ওড়িশার এই সমুদ্র সৈকত এখনো অনেক টুরিস্টেরই চেক লিস্টে ঢুকতে পারেনি। লোকের ভিড় থেকে লুকিয়ে এক অদেখা স্বর্গ বলা চলে যমুনাসুলকে। নীল সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, ঝাউ বনের দৃশ্য আরাম দেবে চোখকে। বালির মধ্যে লুকিয়ে থাকা লাল কাঁকড়াদের লুকোচুরি দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে বোঝাই যাবে না। উপরন্তু সমুদ্র সৈকতে বসে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার যে আনন্দ, তা যারা দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন।
চাইলে একটা অটো ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন কাঁসাফল থেকে। কাঁসাফল নদীর মোহনা এই স্থানটিও ঝাউবনে ঘেরা। জোয়ারের সময় সৈকতে গেলে হাতের কাছে পাবেন নানান ঝিনুক। নির্জন সি বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যমুনাসুল আপনার গন্তব্য হতেই পারে এই শীতের ছুটিতে।
কীভাবে যাবেন যমুনাসুল? হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে দেড় থেকে দু ঘন্টায় পৌঁছে যান বাস্তা স্টেশনে। সেখান থেকেই পেয়ে যাবেন অটো। ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যাবেন যমুনাসুল। বাস্তা স্টেশন থেকে সি বিচে যেতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। গাড়িতেও যেতে পারেন যমুনাসুল। সময় লাগবে ঘন্টা পাঁচেক মতো। থাকার ভালো জায়গাও রয়েছে যমুনাসুলে। যমুনাসুল পান্থনিবাস, যমুনাসুল নেচার স্টে গিরি ফার্মে মতো জায়গায় রয়েছে এসি এবং নন এসি রুম। খাওয়া দাওয়াও বেশ ভালো। সপ্তাহান্তে দুদিন বেশ আরামেই কাটিয়ে আসতে পারবেন যমুনাসুল সি বিচ থেকে।