Lifestyle: তুলসী মঞ্চের পাশে এইসব গাছ রাখলেই ঘোর বিপদ, সংসারে নেমে আসবে অমঙ্গলের ছায়া
ভেষজ গুনে সমৃদ্ধ আমাদের আশেপাশের গাছগুলির মধ্যে অন্যতম হল তুলসী (Tulsi) গাছ। সর্দি, কাশি সহ একাধিক উপসর্গকে নিমেষে সরিয়ে তুলতে পারে তুলসী গাছের পাতার রস। তবে শুধু ভেষজ গুনই নয়, হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান নারায়ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই তুলসী গাছ। মনে করা হয় ভগবান নারায়ণের সান্নিধ্য লাভ করার একমাত্র মাধ্যম হল তুলসী গাছ। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে তুলসী গাছ।
প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে তুলসী গাছে জল দেওয়ার রীতি রয়েছে হিন্দুদের মধ্যে। বিশেষত এই রীতি পালন করেন বাড়ির মহিলারাই। তাদের বিশ্বাস নিয়মিত তুলসী গাছের পুজো করলে এবং তুলসী গাছে জল দিলে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হন এবং সেই পরিবারে নিজের আশীর্বাদ সর্বদা বজায় রাখেন। তুলসীকে বিষ্ণুর স্ত্রী বলেও মনে করা হয়। তাই তুলসী গাছের পুজো করলে তুষ্ট হন নারায়ণ- এই বিশ্বাসও রয়েছে অনেকের মধ্যে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে সপ্তাহের রবিবার ও পাক্ষিক একাদশী, এই দিনগুলিতে ভুলেও তুলসী গাছে জল দেওয়া উচিৎ নয়।
এখন দেখে নিন কোথায় তুলসীগাছ রাখবেন না।বাস্তুশাস্ত্র মতে তুলসী গাছকে কখনো পূর্বদিকে রাখা উচিত নয়। এতে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গাছকে দক্ষিণ দিকে বা দক্ষিণ পশ্চিম দিকে রাখা উচিত নয়। বাড়ির ছাদেও তুলসী গাছ রাখা উচিত নয়। এটিকে বাস্তুশাস্ত্রে অশুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও ময়লা, আবর্জনার স্তুপ কিংবা অপরিস্কার জায়গায় তুলসী গাছ রাখা উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে তুলসীর যত্নে জেমন সুফল মেলে তেমনই তুলসীর অযত্নে ততটাই কুফল প্রাপ্তি ঘটে। রাস্তার ধারে বা দরজার পাশে কখনোই তুলসীর গাছ রাখবেন না। এতে বাড়িতে চরম ক্ষতি হতে পারে।
তুলসী গাছ সবসময় বাড়ির উত্তর দিকে রাখা উচিত। এতে বাড়িতে ইতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পায়। সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে পরিবারে। কিন্তু কোনো কাঁটাযুক্ত ক্যাকটাস গাছ তুলসী গাছের পাশে রাখা উচিত নয়। এছাড়াও সবসময় বিজোড় সংখ্যায় তুলসী গাছ বাড়িতে রাখা উচিত। তবে একাদশী, পূর্ণিমা ও অমাবস্যার দিনে তুলসী গাছের পাতা ছিঁড়বেন না। এতে অমঙ্গল হতে পারে। তবে সরাসরি রোদ পেতে দেবেন না গাছটিকে। প্রতিদিন জল দিয়ে পরিচর্যা করুন। এতে বাড়ির উপর বিষ্ণুর কৃপা বজায় থাকবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর লিখিত। বাস্তব জীবনে ব্যক্তিবিশেষে এর প্রভাব ভিন্ন হতে পারে।