Mohua Moitra: বিদেশে পড়াশোনা ও বিয়ে, সুখের জীবন ছেড়ে রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র
‘প্রশ্ন-ঘুষ’ কাণ্ডে গত সপ্তাহে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট গত শুক্রবার লোকসভায় জমা পড়ে। তার পরেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ধ্বনিভোটে খারিজ হয়ে যায় মহুয়ায় সাংসদপদ। সূত্রের খবর, এথিক্স কমিটির ওই রিপোর্টে মহুয়ার লোকসভার লগইন আইডি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কাজকে ‘অনৈতিক আচরণ’ এবং ‘সংসদের অবমাননা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়। পাশাপাশি এথিক্স কমিটি রিপোর্টে মহুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করে। একই সঙ্গে রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয় যে, মহুয়ার সাংসদপদ যেন খারিজ করা হয়।
তবে এবারেই কিন্তু প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তবে এই বিতর্কের মাঝেই নিজের জীবনে শিক্ষা ও এক প্রতিষ্ঠিত মহিলার ছাপ রেখে গেছেন তিনি। কলকাতায় মহুয়ার শিক্ষা জীবন শুরু হলেও স্কুলের গন্ডি পেরিয়েই তিনি বিদেশে যান উচ্চশিক্ষার যিনি। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটের সাউথ হার্ডলির মাউন্ট হলিওকে থেকে স্নাতক স্তরে পড়াশুনা করেন তিনি। সেই কলেজ থেকেই অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সেখানেই তার কর্মজীবন শুরু হয়। বিখ্যাত মার্কিন সংস্থা জেপি মরগ্যানে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে বহুদিন কাজ করেছেন মহুয়া। সেখানে এক বিদেশিকে বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি বেশিদিন।
তবে ২০০৯ সালে সফল কর্মজীবন ছেড়ে দেশে ফেরেন তিনি। সেই বছরই যুব কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি ঘটে তার। যদিও কংগ্রেসে বেশিদিন তার মন টেকেনি। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান তৃণমূলে আসেন এবং ২০১৬ সালে নদীয়া জেলার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন মহুয়া। এরপর ২০১৯ সালে নদীয়া জেলারই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু এই সাংসদ পদই শেষমেষ হারাতে হলো তাকে।
প্রসঙ্গত, মহুয়ার জন্য তৈরি এথিক্স কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘মহুয়া মৈত্রের অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক, জঘন্য এবং অপরাধমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে এথিক্স কমিটিভারত সরকারের কাছে সুপারিশ করছে যে, তাঁর বিরুদ্ধে যেন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক আইনি তদন্ত করা হয়।’’ এ ছাড়াও এথিক্স কমিটি রিপোর্টে মহুয়া মৈত্র এবং দর্শন হীরানন্দানির মধ্যে নগদ অর্থ লেনদেনের ‘মানি ট্রেইল’-এরও তদন্ত করানোর সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি এথিক্স কমিটির সদস্য কিন্তু ইন্ডিয়া ব্লকের সদস্য দানিশ আলির আচরণেরও নিন্দা করা হয়েছে রিপোর্টে।