Digha: হার মানবে গোয়া বিচ’ও! বড়দিনের আগেই দীঘার সমুদ্র সৈকতে চলবে এই কাজ
দেখতে দেখতে ডিসেম্বরের অর্ধেক সময় অতিবাহিত। আর কয়েকদিন পরেই আসছে বড়দিন। আর এই দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষ অবধি অনেকেরই অনেক প্ল্যান থাকে। কেউ কেউ আবার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানও করে থাকেন। আর ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলে, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হয় একটাই। আর সেটা হল দীঘা (Digha)। অনেকে ঝাউবনের মৃদু বাতাসে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন দীঘাকে। আবার অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বাংলার এই সমুদ্র সৈকতে।
উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে যেন একটা আলাদা জায়গা পায়। কারণ, দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির।
আর এবছর বড়দিনে দীঘার সমুদ্র সৈকতে দারুন ভিড় জমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এবছর দীঘার সমুদ্র দইকোর্টে আরো বেশি করে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সম্প্রতি, দীঘা সৈকতের সৌন্দর্য রূপায়ণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা। তবে এবার তারা যা পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সুবিধা পাবেন দীঘা যাওয়ার প্ল্যান করা হাজারো পর্যটক। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই দীঘা সৈকতে অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা হয়।
জানা গেছে, বড়দিনের আগেই দীঘা সৈকতে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে চলছে দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তবে দোকান ভাঙা বা কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে তারা এই কাজটি করতে চায়। সেই জন্য আগেই ঘোষণা হয়েছিল। সেই মোতাবেক হারা যারা আবেদন করেছেন, শুধুমাত্র তারাই হকারি করবেন সৈকতে। সৈকতকে ফাঁকা করতে বাকিদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।