LPG: লম্বা লাইন দিয়ে নয়, বাড়িতে বসেই হবে বায়োমেট্রিক যাচাই, হয়রানি কমলো কোটি কোটি গ্রাহকের
সরকারি পরিষেবার যেকোনো ধরণের কারচুপি রুখতে বায়োমেট্রিক আপডেট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রশাসনিকভাবে। আর এবার এলপিজি কানেকশনের সঙ্গেই বায়োমেট্রিক আপডেট করতেও বাধ্যতামূলক করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যেমনটা জানা গেছে, তাতে করে আগে উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্গত ১০ কোটি মহিলা গ্রাহকদের এই কাজটি করতে হবে। তারপর অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য এই কাজটি করতে হবে। আর এই কাজটি না করলেই এবার থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার মিলবে না বলেই জানা গেছে। যদিও এমন কোনো সরকারি নির্দেশিকা এখনো জারি করা হয়নি।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ডেডলাইন হিসেবে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখকেই ঠিক করা হয়েছে। তবে এর জন্য কিন্তু গ্যাস অফিসে লম্বা লাইন পড়ছে। প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে ভোরবেলা থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা। আর এমনটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ শহুরে এলাকায় প্রতিটি ডিলারের কাছে রয়েছে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার গ্রাহক। অনুওদিকে গ্রামীন এলাকায় এই সংখ্যাটা ডিলার পিছু ১৫ হাজার। তাই এত কম সময়ে এত মানুষের বায়োমেট্রিক যাচাই একটি দুঃসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তবে এবার এই নিয়ে এসে গেল এক সুখবর। আবার আর ডিলারের অফিসে দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাই করতে হবেনা। বরং ঘরে বসে বসেই এই কাজটি করতে পারবেন গ্রাহকরা। কারণ এই কাজের দায়িত্ব থাকবে সিলিন্ডার ডেলিভারি ম্যানদের উপর। তাদের মোবাইলে একটি এপ্লিকেশন ও একটি স্ক্যানার মেশিন দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সহজেই কাজটি করা যাবে। তবে এক্ষেত্রেও ডেলিভারি ম্যানদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এত কম সময়ের মধ্যে তা কিভাবে সম্ভব হবে, তাও ফলাও করে বলতে পারছেন না গ্যাস ডিলাররা।
এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে আরো একাধিক সমস্যা রয়েছে। জানা গেছে, বায়োমেট্রিক আপডেটের পর থেকে নাকি বদলে যাবে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারির নিয়মকানুন। কারণ এবার বাড়িতে গ্যাস ডেলিভারি করার আগের কনজিউমারের বায়োমেট্রিক মিলিয়ে তবেই দেওয়া হবে গ্যাসের সিলিন্ডার। এর প্রভাবে রান্নার গ্যাস বিলির সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। পাশাপাশি এই কাজটি কতটা সুচারুভাবে করা সম্ভব, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন ডিলারদের একাংশ।