অল্প খরচে হানিমুন প্ল্যান করতে চান? ঘুরে আসুন ছবির মতো সুন্দর এই জায়গা থেকে
বছর শেষে বিয়ের হিড়িক উঠেছে সর্বত্র। ইদানিং শীতকালে বিয়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সারা বছর ধরেই মাস অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও শীতকালে একটু বেশিই ঘন ঘন বিয়ে হয়। এ বছরও নভেম্বর ডিসেম্বরে বহু বিয়ে হয়েছে। আর নববিবাহিত দম্পতিরা বিয়ের পর যে হানিমুনে (Honeymoon Spot) যাবেন তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বিয়ের বিপুল খরচের পর পকেট বাঁচিয়ে, ভিড়ভাট্টা সামলে দুটিতে খানিক একান্ত সময় কাটাতে কোথায় যাওয়া যায়, সেই চিন্তা অনেকের মাথাতেই আসবে। তাদের জন্য মুশকিল আসান হিসেবে রইল এই প্রতিবেদন।
গরমকাল হোক বা শীত, পাহাড়ের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে নববিবাহিতদের মধ্যে হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে হিল স্টেশনের জনপ্রিয়তা রয়েছে বরাবরই। মধুচন্দ্রিমায় যদি পাহাড়ে ঘেরা চা বাগানে সময় কাটানো যায় তাহলে জমে ক্ষীর হয়ে যাবেই। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল একটা নয়, বরং একগুচ্ছ হানিমুন স্পটের। প্রতিটি জায়গা সম্পর্কে জানতে প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
মিরিকের নাম তো সকলেই শুনেছেন। বাজেটের মধ্যে অফবিট হানিমুন স্পটের জন্য পৌঁছে যেতে পারেন সৌরেনি। মিরিকের কাছেই রয়েছে এই পাহাড়ি গ্রাম। চারিদিক পাহাড় এবং সবুজ চা বাগানে ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে নিমেষে জমে উঠবে প্রেম। চাইলে কাছাকাছির মধ্যে মিরিক থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
যারা পাহাড়ি জায়গায় অফবিট ডেস্টিনেশন খোঁজেন, তাবাকোশি নামটি তারা শুনে থাকবেন। ইদানিং পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই অফবিট স্পটটি। মিরিক এবং দার্জিলিংয়ের মাঝে পাহাড়ের পাদদেশে এই তাবাকোশি গ্রাম।
যেতে পারেন লেবং। ঘুমের গা ছুঁয়ে চা বাগানের পাশ দিয়ে পৌঁছে যান লেবংয়ে। চা বাগানের উপরে সুন্দর করে সাজানো হোম স্টে। ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ হাতে ব্যালকনিতে দাঁড়ালেই সামনে দেখতে পাবেন বিস্তীর্ণ সবুজ চা বাগান আর দূরে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা। হানিমুন স্পেশ্যাল হয়ে উঠবে নিমেষেই।
চলে যেতে পারেন চটকপুরও। হইহল্লা থেকে দূরে পাহাড় ঘেরা পাইনের বনে, পাখির কলকাকলি শুনতে শুনতে ভাঙবে ঘুম। স্বপ্নের মতো দিনগুলি কীভাবে কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না।