২০২৪-এই ব্যবসা ডুববে Jio, Vi, Airtel-এর! মাত্র ১০০ টাকায় আনলিমিটেড পরিষেবা আনছে BSNL
ডিজিটাইজেশনের যুগে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা সকলের দরকার পড়ে। আর তার জন্য রয়েছে দেশের হাতেগোনা কয়েকটি টেলিকম সংস্থা। বর্তমানে ভারতে মূলত তিনটি টেলিকম পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে। Jio, Airtel, Vi এবং BSNL বর্তমানে সারাদেশে টেলিকম ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে প্রাইভেট টেলিকম কোম্পানিগুলির রিচার্জ প্যাকের দাম দিনের পর দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে টেনশন বাড়ছে অনেকের। 4G নেটওয়ার্কের প্যাকের দামের অনুপাতে 5G রিচার্জ প্যাক মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে থাকবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তদের সামনে বিরাট সমস্যা তৈরি হতে চলেছে।
তবে এবার এই কোম্পানিগুলির নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী বাজারে আসতে চলেছে। এবার হয়তো বাজার ডুববে জিও, ভোডাফোন-আইডিয়া এবং এয়ারটেলের মতো প্রাইভেট টেলিকম কোম্পানির। কারণ এবার নতুন বছরে দারুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরমারী টেলিকম সংস্থা BSNL। জানা গেছে, আগামী বছরে ভারতের সব ল্যান্ডফোন কানেকশনের সঙ্গে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা জুড়ে দেওয়া হবে। ৫০০ টাকার কমেই রাখা হবে ইন্টারনেটের মাসিক রিচার্জ প্যাক। আর প্রথমে গ্রামীন স্তরে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে BSNL।
সূত্রের খবর, এবার থেকে ফাইবারের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে এই সরকারি সংস্থা। পাশাপাশি, এই পরিষেবার মাধ্যমে একযোগে ইন্টারনেট ও বিনামূল্যে কলিংয়ের সুবোধ মিলবে। আর এই সবকিছুর জন্য রিচার্জ প্যাক শুরু হবে ১০০ টাকা থেকেই। তাই মধ্যবিত্তদের মধ্যেও এবার ইন্টারনেট খরচের চিন্তা দূর হতে চলেছে। জানা গেছে, দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, পাটনা, রায়পুর, ইন্দোর, ভোপাল, জয়পুর এবং চণ্ডীগড়ের মতো দেশের অন্যান্য শহরগুলিতেও একই পরিষেবা চালু করবে BSNL।
এই বিষয়টি নিয়ে গুজরাটে নিযুক্ত বিএসএনএলের ভুজ রেঞ্জের জিএম মনোজ কুমার বলেন, “এখনও পর্যন্ত সমস্ত ল্যান্ডলাইন নম্বর কপার লাইন থেকে দেওয়া হত। বিএসএনএল এখন এটিকে ব্রডব্যান্ডে রূপান্তর করছে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশের সব অংশে ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। এর পরে, গ্রামে একটি ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটবে কারণ এই কৌশলে আপনি একটি ফাইবারকে অন্য ফাইবারের সাথে সংযুক্ত করেন এবং একটি সংযোগ তৈরি হয়। ভারত ব্রডব্যান্ড কর্পোরেশন লিমিটেড সারা দেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। ফাইবার পৌঁছে গেছে দেশের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। দেশে ৩ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ছিল, যার কাজ শেষ হয়েছে।”