প্রশংসা নিন্দা মিলিয়েই জীবন তারকাদের। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য এখন ট্রোলিং এর মাত্রাটা আরোই বেড়ে গিয়েছে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের (Swastika Mukherjee) ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম। নেট মাধ্যমে ট্রোলারদের অন্যতম প্রিয় নিশানা স্বস্তিকা। যদিও তিনিও পালটা উত্তর দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেন নিন্দুকদের। তবে আগের থেকে অনেকটাই বদল হয়েছে স্বস্তিকার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রোলিং নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
৪৩ এ পা দিয়েছেন স্বস্তিকা। তবুও এখনো তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নেট পাড়ায়। তবে অভিনেত্রীর কথায়, এইসব সমস্যা নিয়ে এখন আর তিনি মাথা ঘামান না। জীবনের অর্ধেকের বেশি বেঁচে নিয়েছেন তিনি। এগুলো তাঁর অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। যে যতই ট্রোল করুক না কেন তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না। আগে যাও বা জবাব দিতেন, এখন আর সেটাও দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না, স্পষ্ট জবাব স্বস্তিকার।
কিছুদিন আগেই হইচই এর পার্টিতে প্রাক্তন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বস্তিকার ছবি তোলা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কিন্তু সেসব গায়ে মাখেন না অভিনেত্রী। তিনি নিজেই বলেন, নববর্ষে পার্টিতে সৃজিত এবং পরমব্রতর সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রাক্তন বলে কিছু হয় না’। পাঁচ ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনেই স্বামী স্ত্রীরা ভাই বোনের মতো হয়ে যায়। তাহলে ১৫ বছর আগের প্রাক্তন কি প্রাক্তনই থেকে যাবে। এক জায়গায় কাজ করেন সকলেই। স্বস্তিকা বলেন, পরম বা সৃজিতের কথা ভাবলে এখন তাঁদের ভালোগুলিই মনে পড়ে তাঁর।
স্বস্তিকার কথায়, তাঁদের পেশায় কারোর সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করা বা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করা যায় না। তাহলে বাড়িতে বসে থাকতে হবে। কথায় কথায় অভিনেত্রী বলেন, নববর্ষের পার্টিতে পরমব্রতকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছিলেন, ‘ভালো থাকিস’। পালটা অভিনেতাও তাঁকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উত্তরে স্বস্তিকা বলেছেন, পরমের জন্য না হলেও পিয়ার জন্য নিশ্চয়ই যাবেন। পিয়ার ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় অভিনেত্রীর মুখে। স্বস্তিকার কথায়, পিয়ার স্বামী কে সেটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পিয়াকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। তাঁকে খুবই পছন্দ তাঁর।
View this post on Instagram