Vacation: পাহাড়ি নদীর পাশেই তাঁবু, কনকনে শীতেই অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

নতুন বছরের প্রথম মাসেই একগুচ্ছ ছুটি রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। স্কুল, কলেজ, অফিস ছুটি থাকায় কিছুদিনের জন্য ছোট্ট ভ্যাকেশনের (Vacation) প্ল্যান করেন অনেকেই। এবারে রাজ্যেই শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। তবে শীত…

Nirajana Nag

নতুন বছরের প্রথম মাসেই একগুচ্ছ ছুটি রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। স্কুল, কলেজ, অফিস ছুটি থাকায় কিছুদিনের জন্য ছোট্ট ভ্যাকেশনের (Vacation) প্ল্যান করেন অনেকেই। এবারে রাজ্যেই শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। তবে শীত হোক বা গরম বাঙালির পাহাড় প্রেম কখনোই কমার নয়। তাই এই কনকনে শীতেও অনেকেই পাড়ি জমান পাহাড়ি ডেস্টিনেশনের উদ্দেশে। তাদের অনেকেরই খোঁজ থাকে একটু অফবিট জায়গার, যেখানে এখনও পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা বেশি নেই। শহুরে ব্যস্ততা থেকে দূরে পাহাড়ে সকলেই একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে পছন্দ করেন।

যারা পাহাড়ের কোলে একটু অফবিট জায়গার খোঁজে রয়েছেন তাদের জন্য এই প্রতিবেদনে রইল একটি দারুণ জায়গার সন্ধান। পাহাড়ের কোলে এই অপরূপ সুন্দর স্থান এক নিমেষে পর্যটকদের মন ভালো করে দিতে বাধ্য। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কয়েকদিন নিরুপদ্রবে কাটানোর জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর হতে পারে না কিছু। জায়গাটি হল কালিম্পং এর ১ নম্বর ব্লকের নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের দলবচান্দ গ্রামের শিকারটার (Shikartar) এলাকা।

নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় স্থানীয় যুবকরাই এই পর্যটন স্থল গড়ে তুলেছেন। পাহাড়ে পর্যটকদের থাকার নতুন প্রিয় ঠিকানা হয়ে উঠেছে শিকারটার। নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবী ডোলমা তামাং এই পর্যটন স্থলের উদ্বোধন করেন। এখানে থাকার মূল আকর্ষণই হল তাঁবু। পর্যটন স্থলটির ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘীস নদী। তার পাশেই ছোট বড় ১০ টি তাঁবু রয়েছে। তবে যারা তাঁবুতে থাকতে চান না তাদের জন্য রয়েছে হোম স্টের বন্দোবস্ত। থাকা খাওয়া মিলিয়ে মাত্র ১২০০ টাকাতেই সুন্দর ভাবে সময় কাটাতে পারবেন পর্যটকরা।

কলকাতা থেকে আসতে চাইলে ট্রেন ধরে সোজা চলে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন নয়তো নিউ মাল জংশন। সেখান থেকে গাড়ি নিয়েই আসা যাবে শিকারটার। বর্তমানে রাস্তাঘাট কিছুটা খারাপ থাকায় তা সারাইয়ের জন্য আবেদনও জানানো হয়েছে বলে জানান নিমং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এখানে পাশেই রয়েছে পিকনিক স্পট। চাইলে ঘুরে আসা যাবে গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও। এমনকি পাশ দিয়ে বয়ে চলা ঘীস নদীতে সাঁতারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই