Tourism: দীঘা-পুরী আর নয়, দু-তিন দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন ‘মিনি আন্দামান’ থেকে
শীতকাল মানেই বাঙালি মন ব্যাগ গুছিয়ে বেড়াতে যেতে চায়, কিন্তু অনেক সময় অফিসে ছুটি পাওয়া যায় না কিংবা পকেট পারমিট করে না, এমন অবস্থাতে যদি একটু ঘুরে বেড়াতে চান আর যদি জঙ্গল, সমুদ্র একসঙ্গে পেতে চান আর যদি আন্দামান যাওয়ার সময় না থাকে বা পকেটের টান পড়ে তাহলে কলকাতার কাছেই ঘুরে আসতে পারেন মিনি আন্দামান থেকে। বুঝতে পারছি না তো অনেকেই হয়তো ভাবছেন কলকাতার কাছে আবার আন্দামান কোথায়? হ্যাঁ আজকে আমরা কলকাতার একদম কাছে যাবো মিনি আন্দামানে ঘুরতে।
উড়িষ্যা মানেই শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত জগন্নাথ দেবের মন্দির আর কোনারক মধ্যে নয়, ওড়িশা গেলেও আপনি যে জায়গাটি ঘুরে আসতে পারেন সেটি হল চিলকা। চিলকা কে আপনি সহজেই মিমি আন্দামান বলতে পারেন সিলকার আশেপাশের পরিবেশ দেখে আপনার মন একেবারে ভরে যাবে চোখ জুড়িয়ে যাবে।
পুরী থেকে গাড়িতে করে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই জায়গায় খানাকন্দ এবং আশেপাশের ছোট ছোট গ্রাম পেরিয়ে সহজেই মোটামুটি দু-তিন ঘন্টার রাস্তায় পৌঁছে যেতে পারেন চিল্কা। লম্বায় প্রায় ৪০মাইল এবং আয়তনের প্রায় ১১০০ বর্গকিলোমিটার। এখানে গেলে দেখতে পাবেন প্রচুর পরিযায়ী পাখিদের দল, তাই চটপট ক্যামেরা ব্যাগ থেকে বার করে ছবি তুলে ফেলবেন, এছাড়াও এটি রামসার জলাভূমি সংরক্ষণের অন্তর্গত।
কাছাকাছি রয়েছে উড়িষ্যা সরকারের পান্থনিবাস, ইচ্ছা করলে এখানে রাত্রি যাপন করতে পারেন। সাথে পেতে পারেন প্রাকৃতিক নানান সৌন্দর্য, বিরাট খোলামেলা পরিবেশ, কংক্রিটের জঙ্গল থেকে এখানে গেলে কিন্তু কয়েকদিনের ছুটি ভালই কাটবে। এছাড়াও সাথে উপরি পাওনা সেখানকার উড়িয়া রাধুনীর হাতে কাঁকড়া ঝাল, আর চিংড়ির মালাইকারি।
নৌকা ভাড়া করে দেখে আসতে পারেন ডলফিন এর। এছাড়াও দেখতে পারেন বক, ঈগল পানকৌড়ি। নৌকায় করে মোহনা যেতে মোটামুটি দু-তিন ঘন্টার সময় লাগবে এছাড়া মোহনায় পেয়ে যাবেন বেশ কয়েকটা চায়ের দোকান, মাঝেমধ্যে একটু গলা ভেজাতেও পারেন গরম গরম এক কাপ চা পান করে।
চিল্কায় গিয়ে যদি নানা ধরনের পাখি দেখতে চান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই উত্তর দিকেই মঙ্গলজুরি নামে একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে চীন, সাইবেরিয়া, মঙ্গলিয়া থেকে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে পাখি আসে।