whatsapp channel

Shamik Chakraborty: ছোট্ট ঘরে কোনোরকমে ঠাঁই, কলকাতায় এসে বাথরুমও পরিষ্কার করেছেন জিষ্ণু

এক একটি সিরিয়ালের দৌলতে এক একজন অভিনেতা দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেন। 'ইচ্ছে পুতুল' (Icche Putul) এর ক্ষেত্রে তিনি হলেন অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী (Shamik Chakraborty)। জি বাংলার এই…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

এক একটি সিরিয়ালের দৌলতে এক একজন অভিনেতা দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেন। ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) এর ক্ষেত্রে তিনি হলেন অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী (Shamik Chakraborty)। জি বাংলার এই সিরিয়ালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জিষ্ণুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। তাঁর চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে নায়ককে সরিয়ে তাঁকেই মুখ্য চরিত্রে আনার দাবি উঠেছিল। শমীকের অভিনয় মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। তবে এই সাফল্য কিন্তু সহজে এসে ধরা দেয়নি তাঁর কাছে।

বর্তমানে টেলিভিশনের পরিচিত মুখ শমীক। এর আগে একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মঙ্গলচণ্ডী’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘ফেলনা’, ‘গোধূলি আলাপ’ এর মতো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তারও আগে মডেলিং করেছেন শমীক। নিজের পায়ে দাঁড়াতে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি তাঁকে। সম্প্রতি মাকে নিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এসে সংগ্রামের কাহিনি ভাগ করে নেন অভিনেতা।

কৃষ্ণনগরের ছেলে শমীক। কলকাতায় এসেছিলেন বাবার অমতে। ছোট্ট একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। এতটাই ছোট ছিল সেই ঘর যে একজনের থাকতেই কষ্ট হত। বাড়ির সমস্ত কাজ করতে হত নিজে হাতে। ঘর গোছানো থেকে নিজের রান্নাবান্না সবকিছুই নিজেই করতেন তিনি। এমনকি বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত নিজেকেই। ঘরের সমস্ত কাজকর্ম সেরে রেখে তারপর বেরোতেন কাজে।

মডেলিং করতে করতেই অভিনয়ে সুযোগ পান তিনি। এক পডকাস্টে শমীক জানিয়েছিলেন, চুল কাটতে গিয়ে সালোঁতে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। শমীককে দেখেই চিনতে পেরে কথা বলেছিলেন রাজ। পরবর্তীতে তাঁরই প্রযোজনায় কাজ করার সুযোগ হয় শমীকের। বর্তমানে ইচ্ছে পুতুল ছাড়াও স্টার জলসায় ‘সন্ধ্যাতারা’ সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই ধারাবাহিকে অবশ্য খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন শমীক। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের চরিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ পছন্দ করছেন দর্শকরা।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই