Priyanka Pandit: চূড়ান্ত অশালীন MMS ভিডিও রাতারাতি ধ্বংস করে দেয় অভিনেত্রীর কেরিয়ার
হিন্দির পাশাপাশি ভোজপুরি ভাষার (Bhojpuri Industry) সিনেমা গানের জনপ্রিয়তাও ছিল বহু বছর ধরে। কিন্তু করোনার পর থেকে এই ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতি বাড়ে লক্ষণীয় ভাবে। ভোজপুরি গানের সঙ্গে সঙ্গে এবার সিনেমার গানের ভিডিওগুলিও উঠে আসছে চর্চায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই চোখে পড়বে ভোজপুরি গানে দেদারে নাচের ভিডিও। আবার অন্যদিকে ইউটিউবে ভোজপুরি মিউজিক ভিডিও গুলির চাহিদা আকাশছোঁয়া। এক একটি ভিডিও শেয়ার হতে না হতেই ভাইরাল। এ সবের কারণে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীরাও জনপ্রিয়তায় বলিউডি নায়ক নায়িকাদের সমকক্ষ হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে।
ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অবশ্য নতুন নয়। বহু বছর ধরেই এই সব সিনেমার গান সিনে প্রেমীদের মন জয় করে আসছে। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ভোজপুরি গান বাজানো হয়েছে। তার তালে উদ্দাম নেচেছে মানুষ। তবে কয়েক বছর হল ডিজিটাল বিনোদনের রমরমা বাড়তেই ভোজপুরি সিনেমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক লাফে। তবে বলিউডের মতো এই ইন্ডাস্ট্রিতেও বিতর্ক কম নেই। এমনিতেই ভোজপুরি সিনেমা, গানের বিরুদ্ধে অশালীনতার অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। তার মধ্যে অভিনেতা অভিনেত্রীরাও ফেঁসেছেন নানান বিতর্কে। বিশেষ করে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা পণ্ডিতের (Priyanka Pandit) কেরিয়ার রাতারাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল একটি মাত্র ভাইরাল এমএমএস এর কারণে। তাঁর সফল কেরিয়ার সম্পূর্ণ শেষ করে দিল ওই এমএমএস।
ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা পণ্ডিত। কিন্তু ২০২২ সালে তাও জীবনে ওঠে ভয়াবহ ঝড়। তাঁর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর শরীরের উর্দ্ধাংশ অনাবৃত। অশালীন পোজ দিতে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। ভিডিওটি ঝড় তুলে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রথমে বিষয়টা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন তিনি। তবে শেষমেষ মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা।
তিনি দাবি করেছিলেন, ভিডিওতে থাকা মেয়েটি তিনি নন। তিনি এও জানিয়েছিলেন, ওই দিনগুলি তিনি কীভাবে কাটিয়েছিলেন। ওই ভিডিওটি তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিল। এমনকি ২০২৩ সালে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ভিডিওটি তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিল।