Post Office: ঢেলে সেজে উঠছে ডাকবিভাগ, এবার বাড়িতে বসেই মিলবে ব্যাপক সুবিধা
বর্তমানে ব্যাঙ্ক ছাড়া টাকা জমা রাখার অন্যতম সুরক্ষিত মাধ্যম ডাকবিভাগ (Postal)। বিভিন্ন স্কিমে অর্থ বিনিয়োগের পাশাপাশি এখন আরো নানান রকমের পরিষেবা চালু করা হয়েছে ডাকবিভাগের তরফে। এর মধ্যে পার্সেল বুকিং অন্যতম। শহরতলির বিভিন্ন জায়গা সহ শিলিগুড়িতেও ডেলিভারি ভ্যানের মাধ্যমে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই পরিষেবার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি পার্সেল পাঠাতে চাইলে ডাকবিভাগে না গিয়ে এলাকার ডেলিভারি ভ্যানে তুলে দিতে পারবেন পণ্যটি।
শুধু পার্সেল বুকিং নয়, ডাক পরিষেবাকে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আরো একাধিক আকর্ষণীয় পরিষেবা চালু করা হয়েছে ডাকবিভাগের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে প্যাকিং এবং ডোর টু ডোর পরিষেবা। এই পরিষেবার বৈশিষ্ট্য হল, এখন থেকে সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে পার্সেল বুক করতে পারবেন গ্রাহকরা। যে ঠিকানা দেওয়া হবে ডাক বিভাগের কর্মীরা সেখানে গিয়েই সংগ্রহ করবে পার্সেল। বাড়ি থেকেই নেওয়া হবে পরিষেবার দাম। উল্লেখ্য, স্পিড পোস্ট এবং রেজিস্টার্ড পার্সেলও এখন বুক করা যাবে এই পদ্ধতিতে।
শুধু শহরতলি বা শিলিগুড়ি নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও চালু করা হচ্ছে ডাকবিভাগের এই বিশেষ পরিষেবা। সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে রাজ্যের যে কোনো প্রান্ত থেকে বুক করা যাবে পার্সেল। হেল্পলাইনে গ্রাহক যে ঠিকানাটি দেবেন, নিকটবর্তী ডাকঘরের কর্মী সেই ঠিকানায় পৌঁছে গিয়ে পার্সেলটি সংগ্রহ করে নেবেন।
ডাকবিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, এই নতুন পরিষেবায় সাধারণ মানুষরা তো উপকৃত হবেনই, পাশাপাশি মহিলা ছোট ব্যবসায়ীদেরও অনেক সুবিধা হবে। আগে তাদের পণ্য নিয়ে ডাকঘরে হাজির হতে হত। এখন আর তার প্রয়োজন পড়বে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পার্সেল পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশে যদি কেউ পার্সেল বা স্পিড পোস্ট পাঠাতে চান তাহলেও এই এই পরিষেবার মাধ্যমে সম্ভব হবে। ক্ষতি কমিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে টক্কর দিয়ে পার্সেল ব্যবসাকে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ ডাকবিভাগের।