Cyclone Update: ‘মোচা’র তান্ডবে তছনছ হবে দীঘা-পুরী? এইসব জায়গায় ঝড়ের গতিবেগ হবে ১০০ কিমি/ঘন্টা
‘অভিশপ্ত মে’ মাসে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক বাংলায়। আয়লা, লায়লা, ফনি, আমফান, জাওয়াদ-এর পর এবার বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। ইতিমধ্যে বঙ্গপসাগরে ফনা তুলে দাঁড়াচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। এই নিয়ে প্রবল আতঙ্কে বাংলার উপকূলীয় এলাকায় মানুষজন। কারণ বিগত দিনের স্মৃতি আজও তাদের তাড়া করে বেড়ায়। তাই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মুহুর্মুহু আপডেট ও এই ঝড়ের মোকাবিলায় চলছে প্রস্তুতি।
এদিকে এসবের মাঝেই ফের পারদ বৃদ্ধি ঘটেছে বাংলায়। বেশ কিছু জেলায় রোদের প্রখরতা বৃদ্ধি পেয়েছে গতকাল থেকেই। ফলে বৈশাখের সেই দাবদাহ এবাট বাংলায় ফিরছে বলেই অনুমান অনেকের। আর এর মাঝেই নিয়মিত ঘটছে বিক্ষিপ্ত কালবৈশাখী। এর প্রভাব আজও বজায় থাকবে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাই আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাস সহ ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র বর্তমান অবস্থান- সবটা আলোচনা হবে এই প্রতিবেদনে।
■ ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান: ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, যেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সোমবার সকালে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। দেশ বিদেশের অধিকাংশ মডেল এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ড ফল বাংলাদেশ ও মায়ানমার সংলগ্ন উপকূল বলে জানালেও ভারতের মৌসম ভবন এখনও তার গতিপথ সুনিশ্চিত করেনি।
■ আজ থেকেই ঝড়বৃষ্টি: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে ঝড়বৃষ্টি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই দুর্যোগের পরিস্থিতি ক্রমশ বাড়বে আগামী কয়েকদিনে। বুধ, বৃহস্পতিবারে সেখানে প্রবল বৃষ্টি এবং ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত।
■ দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব: পশ্চিমবঙ্গে আপাতত ঘূর্ণাবর্ত বা ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শুষ্ক থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। তবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় আগামী ২ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
■ দীঘা ও পুরীতে প্রভাব: এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়ের ‘মোচা’-র প্রভাবে দীঘা এবং পুরী তছনছ হয়ে যাবে। তবে ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে আপাতত সেরকম কিছু জানানো হয়নি।