লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের ভাঙনের ইঙ্গিত তৃণমূলে। একের পর এক তারকা সদস্যরা পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এবার একই পথে হাঁটলেন অভিনেতা তথা বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন চিরঞ্জিত। এটা অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা করেননি।
সম্প্রতি বারাসতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন চিরঞ্জিত। সেখানেই তিনি জানান, আর নয়, এবার রাজনীতি ছাড়তে চান তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে চিরঞ্জিত বলেন, ‘যতবারই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলি, আমাকে ছেড়ে দিন, কেন জানিনা উনি আমাকে ছাড়েন না। আমি বলেছি, এটা আমার কাজ নয়। আমি এই যুদ্ধের সেপাই নই’। এরপরে চিরঞ্জিত আরো বলেন, তাঁর সমর্থকরাও তাঁকে বারবার জিতিয়ে দেন। কিন্তু এবারে নিজেকেই নিছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি যে আর নয়’।
অভিনেতা বিধায়ক বলেন, আমেরিকায় মেয়ের কাছে গিয়ে থাকবেন তিনি। এখানে আর আসবেন না। তবে তিনি এও বলেন, তবুও ছাড়তে ইচ্ছা করে না। সমর্থকদের টানেই বারবার ছুটে ছুটে আসেন তিনি। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নও যে তিনি করেছেন সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি চিরঞ্জিত।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বহুদিনের সদস্য চিরঞ্জিত। ২০১১ সালে প্রথম বার ঘাসফুলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিন তিন বার ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন চিরঞ্জিত। এর আগে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও ভোটে দাঁড়াতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপর অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তিনি প্রার্থী হন এবং জেতেনও। কলকাতায় স্ত্রী রত্নাবলী চক্রবর্তীর সঙ্গে থাকেন চিরঞ্জিত। একমাত্র মেয়ে দীপাবলি চক্রবর্তী থাকেন আমেরিকায়। প্রবাসেই সংসার সাজিয়ে থিতু হয়েছেন চিরঞ্জিত কন্যা। অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রী আমেরিকায় মাঝে মাঝে মেয়ের কাছে থাকতে যান। তবে তিনি সত্যি সত্যিই রাজনীতি ছেড়ে দেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।